Bangla News Dunia, Pallab : হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের ভর্তিতে স্থগিতাদেশ জারি করল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। প্রসঙ্গত, হাভার্ডের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগসাজশ রাখা এবং ইহুদিবিদ্বেষের মতো অভিযোগ এনেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। বৃহস্পতিবার, মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর থেকেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে নানা মহলে।
আরও পড়ুন : ঝুঁকি ছাড়াই বেশি রিটার্ন পেতে চান ? পোস্ট অফিসের এই স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করুন
সূত্রের খবর, এই প্রসঙ্গে মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব ক্রিস্টি নোয়েম হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি চিঠি দিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘প্রশাসন হাভার্ডের কাছে জবাবদিহি চাইছে। তাদের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষ সহ নানান রকম হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গেও তাদের যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। মনে রাখতে হবে, বিদেশি ছাত্র ভর্তি করানো কোনও অধিকার নয়, এটা এক ধরনের সুবিধা মাত্র।’
হাভার্ড বিদেশি পড়ুয়াদের থেকে প্রচুর পরিমানে টাকা নিয়ে নিজেদের তহবিল বৃদ্ধি করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে ওই চিঠিতে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি ৭২ ঘন্টার ভেতর হাভার্ডের তরফে চাহিদামতো তথ্য সরবরাহ করা হয় তবে তাদের স্টুডেন্ট এন্ড এক্সচেঞ্জ ভিসিটর প্রোগ্রাম(SEVP) সার্টিফিকেশন পুনরায় কার্জকরী করা হবে এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে তাঁরা আবারও বিদেশি ছাত্র ভর্তি করাতে পারবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ এবং ‘প্রতিশোধমূলক’ আখ্যা দিয়ে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলে হয়েছে যে,’সরকারের এই পদক্ষেপ আইনবিরুদ্ধ। আমরা হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক ছাত্র ও গবেষকদের স্বাগত জানানোর ক্ষমতা অটুট রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের ছাত্ররা বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে এখানে আসেন এবং তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এই দেশকে অনেকাংশে সমৃদ্ধ করেন।’
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের ফলে হাভার্ডে পাঠরত আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হওয়ার একটি সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। এছাড়াও তাঁদের বৈধ অভিবাসন মর্যাদাও তাঁরা হারাতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।