Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ১০ টাকার কয়েন অনেকের কাছে সাধারণ একটি মুদ্রা হলেও এর রঙের পার্থক্য নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে। বাইরের অংশ সোনালী এবং মাঝখানটা রূপালী কেন এমন করা হয়েছে? আসলে এর পিছনে রয়েছে গভীর পরিকল্পনা, প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা জনিত কারণ। আমরা জানি যে অনেক মানুষের কাছে এই কয়েন থাকলেও অনেকেই এই নিয়ে জানেন না, তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটা জেনে নেওয়া জরুরি।
১০ টাকার কয়েনের ডিজাইন এর পিছনে রহস্য কী?
কয়েনের দুই রঙের ব্যবহার প্রতারণা প্রতিরোধে সহায়ক, ১০ টাকার কয়েনে ব্যবহৃত দুই ধরণের ধাতু কেবল সৌন্দর্যের জন্য নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা মূলক বৈশিষ্ট্য, বাইরের সোনালী অংশটি মূলত ব্রাস দিয়ে তৈরি, যা তামা ও দস্তার মিশ্রণ, মাঝখানের রূপালী অংশটি কাপ্রো নিকেল, যা তামা ও নিকেলের মিশ্রণ, এই মেটাল কম্বিনেশনটি জাল নোট ও কয়েন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১০ টাকার কয়েন এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে দৃষ্টিহীন ব্যক্তিরাও এটি সহজেই চিনতে পারেন, সোনালী ও রূপালী অংশের স্পর্শে পার্থক্য রয়েছে, ধাতুর ঘনত্ব ও গঠন এমনভাবে তৈরি যাতে স্পর্শেই টের পাওয়া যায়, বিভিন্ন ধাতুর ব্যবহার শুধুমাত্র নিরাপত্তা নয়, বরং টেক সইতার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, ব্রাস ধাতু বাতাস ও জলের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া কম করে, কাপ্রো নিকেল ঘর্ষণ প্রতিরোধী, এই উপাদান গুলো কয়েনকে দীর্ঘ সময় ধরে চলার উপযোগী করে তোলে।
আরও পড়ুন:- চলছে এনকাউন্টার, সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ 2 জঙ্গি। কাশ্মীরজুড়ে ব্যাপক তল্লাশি
বাজারে নানা মূল্যমানের কয়েন ঘোরা ফেরা করে। দুই রঙের ব্যবহারে ১০ টাকার কয়েনকে সহজেই অন্য দের থেকে আলাদা করা যায়, এই কারণে সাধারণ মানুষ চোখের এক ঝলকেই বুঝতে পারে এটি ১০ টাকার কয়েন, এটিই মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় গতি আনে। ভারতে মুদ্রা ছাপানো বা গঠনের ক্ষেত্রে International Minting Standards অনুসরণ করা হয়, একাধিক ধাতুর সংমিশ্রণ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, ইউরোপ, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে বহু মূল্যমানের কয়েন এই পদ্ধতিতেই তৈরি হয়।
জালিয়াতি ঠেকাতে প্রযুক্তিগত সুবিধা
বহু ধাতু দিয়ে তৈরি কয়েন জালিয়াতদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ এতে বহু ধাপের প্রযুক্তি জড়িত থাকে, সাধারণভাবে এমন কয়েন তৈরি করা খুব কঠিন ও ব্যয় বহুল। অনেকেই মনে করেন এই রঙের পার্থক্য নকল অথবা বাতিল কয়েনের চিহ্ন, রঙের পার্থক্য নিরাপত্তার একটি কৌশল, এই ডিজাইন সম্পূর্ণ বৈধ ও সরকারি মানদণ্ডে তৈরি। ১০ টাকার কয়েনের বাইরের সোনালী ও মাঝখানের রূপালী রঙ নিছক নকশা নয়।
এর পেছনে রয়েছে প্রযুক্তি, নিরাপত্তা এবং ব্যবহারকারীর সুবিধা। সাধারণ মানুষ সচেতন হলে বিভ্রান্তি ও গুজব কমে যাবে এবং মুদ্রা ব্যবস্থাপনাও আরও মসৃণ হবে। এই বিষয় সম্পর্কে কারা কারা জানতেন নিচে কমেন্ট করে জানাবেন, সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন:- ধামাকা অফার! ফ্রিতে 5000GB ডেটা দিচ্ছে Jio! কিভাবে পাবেন জেনে নিন