১২৫৬ জনকে হত্যায় দোষী জমাত নেতাকে মুক্তি, বীরের সংবর্ধনা বাংলাদেশে !

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, দীনেশ :- জেল থেকে ছাড়া পেলেন মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার মামলায় অভিযুক্ত শীর্ষ ফাঁসির আসামী এটিএম আজহারুল ইসলাম। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে জামায়াতে ইসলামির এই শীর্ষ নেতার জেলমুক্তি ঘটতেই তাঁকে ‘বীর’ আখ্যা দিয়ে সংবর্ধনা দিলেন জামাত সমর্থকেরা। বুধবার ঢাকার (Dhaka) কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতাল থেকে এটিএম আজহারুল বেরোতেই কার্যত উৎসবের আমেজ দেখা যায় জেল গেটের বাইরে। তাঁকে নিয়ে বিশাল গাড়িবহর রওনা দেয় জেল গেট থেকেই।

আরও পড়ুন:- বর্ষাকালে কলকাতার কোন ৮ এলাকা বিপজ্জনক? কি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা ? জানুন

জামাত নেতা আজহারুলের (ATM Azharul Islam) বিরুদ্ধে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১২৫৬ জনকে হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম করা ছাড়াও শতশত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের অভিযোগ ছিল। শেখ হাসিনা সরকার মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের বিচারের জন্য অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। ২০১৫ সালে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে ফাঁসির সাজা দেয়। সাজা ঘোষণার পরও তিনি দফায় দফায় আপিল মামলা চালিয়ে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন:- কেমন আছে পুরুলিয়ার এই ‘ভূতের’ স্টেশন ? পরিস্থিতি কি বদলেছে ? জানতে পড়ুন এই বিশেষ প্রতিবেদন

মঙ্গলবার সকলকে অবাক করে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আজহারুলকে মুক্তি দেয়। তাঁর এই মুক্তিকে বিচার ব্যবস্থার প্রহসন বলে উল্লেখ করেছে আওয়ামি লিগ। হাসিনার দলের সাফ কথা, সরকারের নির্দেশে সাজানো রায় দিতে এক প্রকার বাধ্য হয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় ইতিহাসে এই প্রথম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজা মুকুব হল। যা অত্যন্ত লজ্জার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন আল-বদর এর জেলা কমান্ডার ছিলেন আজহারুল। ২০১৪ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে রংপুরের বদরগঞ্জের মানুষ সাক্ষী দিতে গিয়ে বলেছিলেন, পাখি শিকার করার মতো করে মানুষকে গুলি করে মেরেছে আজহারুল।

আরও পড়ুন:- ১ জুন থেকে ৭ নিয়মে বড় বদল, পকেটে পড়বে চাপ । বিস্তারিত জেনে নিন

অন্যদিকে, শীর্ষ আদালতের এই রায়ের ফলে বাংলাদেশের অন্দরে নানান সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন আদালতে শুনানির সময় সরকার পক্ষ আপিলের জন্য জোরালো বিরোধিতা করে নি। আবার অনেকে বলছেন, জামাতের আমির শফিকুর রহমান দু’দিন আগে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। শীর্ষ সেনাকর্তাদের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। এই ঘটনার পরই সুপ্রিম কোর্ট এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে।

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন