Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ইতিমধ্যেই চলেছে বুলডোজ়ার। কোনওমতে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করছে কিছু ইঁট, রড। সেটুকুও খুলে নিয়ে চলে যাচ্ছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে একটি বেসমেন্ট (মাটির নীচে থাকা কামরা) পাওয়া গিয়েছে। সেখানে জমেছে জলও। দাবি ওঠে, সেখানেই রয়েছে ‘আয়নাঘর’। তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের দমকল বাহিনীও। বেসমেন্ট থেকে জল বার করতে শুরু করেন দমকল কর্মীরা। পরে যদিও সেখানে কিছুই পাওয়া যায়নি বলে দাবি করা হয়েছে।
কানাঘুষো, ওই বাড়ির নীচে পাওয়া যেতে পারে ‘আয়নাঘর’-ও। যদিও সে দাবির কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি । বরং অন্য একটি অংশ দাবি করছে, বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি রক্ষা করতে ব্যর্থ প্রশাসন। পরিবর্তে একাধিক আষাঢ়ে গল্প ফাঁদা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেই বাংলাদেশে ‘আয়নাঘর’ থাকার দাবি উঠেছিল। দাবি করা হয়েছিল, এগুলি আসলে গোপন বন্দিশালা, যেখানে কোনও বিচার না করেই মানুষজনকে বন্দি করে রাখা হতো। সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই ‘আয়নাঘর’-এ গুম করা হতো বলে দাবি ওঠে। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার সময়ে আয়নাঘরের অস্তিত্বর কথা স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যান দমকলের কর্মীরা। জল জমে থাকা বেসমেন্ট থেকে জল বার করা হয়। তা দেখতে ভিড়ও জমায় বহু মানুষ।
অন্যদিকে, রবিবার সকালেও সেই বাড়িটি থেকে লোহার রড কেটে নিতে দেখা গিয়েছে অনেককে। কেউ কেউ খুলে নিচ্ছে ইটও। আর তা নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া করে আনা হয়েছে রিকশ, ভ্যান। সেখানে এই ভিড় দেখে এসে জুটেছে কিছু ভ্রাম্যমান দোকানও। সেখানে পাঁপড়, আইসক্রিম, ছোলা, সিগারেটের দোকানও ছিল। বিক্রি হচ্ছিল ঝালমুড়িও।
আরও পড়ুন:- সুখবর ! 1 এপ্রিল থেকে সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে দ্বিগুণ স্যালারি! বিরাট ঘোষণা করল সরকার
আরও পড়ুন:- ভয়ঙ্কর ঘটনা কঙ্গোতে, জেল ভেঙে শতাধিক মহিলাকে ধর্ষণ, কেন ঘটলো এমন ঘটনা ?