দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভারত সরকার পরবর্তী জনগণনার সময়সূচী ঘোষণা করেছে। ২০২৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে দেশব্যাপী এই গণনা শুরু হবে এবং প্রায় ৭০ বছরেরও বেশি সময় পর এবার জাতিভিত্তিক তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ভারতের সামাজিক নীতি, সম্পদ বন্টন এবং সংরক্ষণ কর্মসূচিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : জানা গেল কবে প্রকাশ হবে ক্লার্ক ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, অভিজ্ঞতার জন্য বিশেষ নম্বর
জনগণনার খুঁটিনাটি
জনগণনা আইন, ১৯৪৮ এবং জনগণনা বিধি, ১৯৯০-এর অধীনে দুটি পর্যায়ে এই গণনা পরিচালিত হবে। দেশের বেশিরভাগ অংশের জন্য গণনার রেফারেন্স তারিখ হবে ১ মার্চ, ২০২৭। তবে, তুষারপাত প্রবণ এবং দুর্গম অঞ্চলগুলিতে এই প্রক্রিয়াটি আগেই শুরু হবে, যা অক্টোবর ২০২৬ থেকে আরম্ভ হবে।
জাতিভিত্তিক গণনার তাৎপর্য
স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার জনগণনায় জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর আগে ১৯৩১ সালের জনগণনায় শেষবার জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপের ফলে বিভিন্ন অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে, যা সরকারের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা এবং সংরক্ষণ নীতি সঠিকভাবে রূপায়ণ করতে সহায়ক হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতিভিত্তিক গণনার ফলে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া আরও সহজ হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাবে, যা ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।