Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- চার মাসের বেশি সময় ধরে ফেরার থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন । গতকাল, বৃহস্পতিবার বিহারের কাটিহারের আজমগড় থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রোহনকে ।
ধৃতকে আজ, শুক্রবার মালদা জেলা আদালতে পেশ করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ৷ আদালত তাঁকে সাতদিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷ রোহনের গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় ৷ রোহনকে জেরা করে এই ঘটনার আরও পাণ্ডাদের নাম উঠে আসার সম্ভাবনা দেখছেন দুলালের স্ত্রী চৈতালি সরকার ৷
উল্লেখ্য, গত 2 জানুয়ারি জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয় । এই ঘটনায় মূলচক্রী হিসেবে গ্রেফতার করা হয় ইংরেজবাজার টাউন তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মাকে । নৃশংস এই খুন কাণ্ডে মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হলেও ফেরার ছিলেন অন্যতম দুই অভিযুক্ত কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন ও বাবলু যাদব । অবশেষে গতকাল কাটিহারের আজমগড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় রোহনকে । এখনও বাবলু যাদবের খোঁজে পুলিশি তল্লাশি জারি রয়েছে ।
বাবলা খুনের ঘটনার পর থেকে তদন্তে বারবার রোহনের নাম উঠে আসছিল । এই ঘটনায় ধৃতরা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিলেন, কে দুলাল সরকারকে খুনের সুপারি দিয়েছে, কত টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছে, তা একমাত্র রোহনই বলতে পারে । আদালতে যাওয়ার পথে মূলচক্রী হিসেবে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিও জানিয়েছিলেন, তিনি বড়ো মাথার শিকার । এই ঘটনার পেছনে আরও বড়ো মাথা রয়েছে ।
স্বভাবতই রোহনের খোঁজ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল পুলিশ । রোহনের পাশাপাশি বাবলু যাদবের খোঁজ দিতে পারলে 2 লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল জেলা পুলিশের তরফে ।
নিহত দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, “দুলালবাবুকে খুনের ঘটনায় রোহনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । এই রোহনই মূল শ্যুটার ছিল বলেই আমরা জানতে পেরেছি । রোহনের থেকে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে । কারা এখনও অন্তরালে রয়েছে, সেগুলোও জানা যাবে ।”
আরও পড়ুন:- ডিলিট হওয়া WhatsApp মেসেজ কিভাবে দেখবেন ? জেনে নিন