‘জন্ম ভিটে’তেই উৎখাত হলো আপ, কী কী কারণে পরাজিত হলেন ‘মাফলারম্যান’?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘জেল কে তালে টুট গ্যায়ে, কেজরিওয়াল ছুট গ্যায়ে’ – তিহার জেলের বাইরে সমস্বরে আওয়াজ তুলেছিলেন আপ সমর্থকরা। দিনটা ২০২৪-এর ১৩ সেপ্টেম্বর। জেলমুক্তির পর কেজরিওয়াল নিজেও বলেছিলেন, ‘আমার মনোবল ১০০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।’ পাঁচ মাসে আগেও কেজরি বোধহয় ভাবতে পারেননি, দল তো হারবেই, তিনি নিজেও হারবেন।

চরম কংগ্রেস বিরোধিতা থেকে উঠে আসা আপ বরাবরই ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র ভাবনা নিয়েই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক হয়েছিল বলে দাবি করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে দিল্লির নির্বাচনেও। কিন্তু, ‘আপ যুগ’-এর অবসান ঘটার কারণ কী কী? উঠে আসছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

আরও পড়ুন:- টানা ৫ দিনই দাম বেড়েছে, সামনের সপ্তাহে নজর রাখুন এই ৮ স্টকে

শিসমহল বিতর্ক

কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০২০-২২ সালের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন সংস্কার করানো হয়। সংস্কারের জন্য খরচ হয় প্রায় ৩৩ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ক্যাগ)-র রিপোর্টকে হাতিয়ার করে আপকে আক্রমণ শুরু করে বিজেপি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনকে (তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কেজরি) ‘শিসমহল’ বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই বিতর্ক দিল্লির নির্বাচনে পিছু ছাড়েনি আপ-এর।

আবগারি দুর্নীতি

২০২২ সালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা আবগারি ক্ষেত্রে নীতি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের ব্যাপারে অনিয়ম হয়েছে বলে দাবি করেন। সিবিআই ও ইডি, দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা এই দুর্নীতির তদন্ত করতে শুরু করে। এই মামলায় দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে একাধিকবার সমন পাঠায় সিবিআই। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগেই এই মামলায় অরবিন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া-সহ আপ-এর একাধিক প্রথম সারির নেতা গ্রেপ্তারের ধাক্কা সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে আপ, মনে করছেন আপ নেতাদের একাংশ।

তবে এই দু’টি বড় কারণ ছাড়া ‘প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা’-ও অন্যতম বড় কারণ বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। জল, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিক্ষায়, মহিলাদের বাসের ভাড়া মকুব— এ সব ফ্যাক্টরে দিল্লির মন জিতেছিলেন কেজরি। কিন্তু শেষ টার্ম-এ নতুন কিছু করে দেখাতে পারেনি কেজরি, ধারণা অনেকের। পাশাপাশি, যমুনার জল দূষণ থেকে দিল্লির বায়ু দূষণ – এই বিষয়গুলিও যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল দিল্লিবাসীদের মনে।

প্রসঙ্গত, যে মাটি থেকে উত্থান শুরু হয়েছিল আম আদমি পার্টির, সেই মাটিতেই ক্ষমতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলো দল। এর পরেও কি জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা থাকবে আম আদমি পার্টির? উত্তর দেবে সময়।

আরও পড়ুন:- লিভারের অসুখের ঝুঁকি কমাতে এই অভ্যাসগুলি থেকে দূরে থাকতে হবে

আরও পড়ুন:- বাংলা আবাস যোজনায় আরো ১ লক্ষ বাড়ি দিচ্ছে। আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট ও ঘরের টাকা পেতে কি করবেন? জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন