Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- হাজার-হাজার ‘ভূতুড়ে ভোটারে’র অভিযোগে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। সম্প্রতি কয়েক দিন আগেই ভোটার তালিকায় ‘ভুয়ো নাম’ ঢোকানো নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই মাঝে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিতে প্রায় ৪ হাজার ‘ভুয়ো ভোটার’ নিয়ে তুমুল শোরগোল। একদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, এটি বিজেপিরই কাজ। অন্যদিকে বিজেপি এবং সিপিএম পাল্টা তৃণমূলকেই দায়ী করছে। ভুতুড়ে ভোটার ধরতে জেলায় জেলায় কোর কমিটিও গঠন করেছেন। সেই ‘কোর কমিটি’ গঠন নিয়মবিরুদ্ধ বলে দাবি তুলছেন বিরোধীরা।
কিন্তু আইন-বিধি কী বলছে? শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের চিফ ইলেক্টরাল অফিসের অফিসিয়াল এক্স(টুইটার) হ্যান্ডেল থেকে এই সংক্রান্ত নিয়ম পোস্ট করা হয়। তাতে বলা হয়েছে-
‘জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫০, ভোটারদের নিবন্ধন বিধি ১৯৬০ এবং ভোটার তালিকা সংক্রান্ত ম্যানুয়াল অনুসারে, বিএলও, এইআরও, ইআরও এবং সিইও-রা, যে কোনও রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, রাজনৈতিক দলগুলির দ্বারা নিযুক্ত বুথ স্তরের এজেন্টদের সক্রিয় অংশগ্রহণে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করেন।
কোনও নির্দিষ্ট দাবি বা আপত্তি থাকলে পশ্চিমবঙ্গে ৮০,৬৩৩ জন বিএলও,৩,০৪৯ জন এইআরও,২৯৪ জন ইআরও-র মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সর্বপ্রথম জানাতে হবে।’
আরও পড়ুন:- রাজ্যে অষ্টম শ্রেণী পাশে প্রচুর পদে চাকরি। নূন্যতম মাসিক বেতন 12,000 টাকা। বিস্তারিত দেখে নিন
দেখুন সেই পোস্ট:
জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫০, ভোটারদের নিবন্ধন বিধি ১৯৬০ এবং ভোটার তালিকা সংক্রান্ত ম্যানুয়াল (https://t.co/7gLgJZuCiD) অনুসারে বিএলও, এইআরও, ইআরও এবং সিইও-রা, যে কোনো রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, (১/২)
প্রসঙ্গত, ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে তরজার আবহেই নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের কর্মীসভায় বলেন, ‘অমিত শাহের অধীনস্থ সমবায় দফতরের প্রধান সচিব পদে কাজ করেছিলেন(উনি)। আমি এক সময় কমিশনকে শ্রদ্ধা করতাম। এখনও করি। নির্বাচন কমিশনার পদে কাকে বসিয়েছে জানেন? টোটালটাই বিজেপির লোক’।
এদিকে এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, ‘নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমস্ত সীমা পার করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভিত্তিহীন অভিযোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। প্রকাশ্যে মিথ্যে অভিযোগ করে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে’।
উল্লেখ্য, চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি সংসদে প্রায় ৪,৫০০ বাড়তি ভোটার পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। চম্পাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অসিতবরণ মণ্ডল জানান, প্রশাসনের নির্দেশমাফিক তাঁরা ভোটার তালিকা ‘স্ক্রুটিনি’ করছিলেন। সেই সময়ই দেখা যায়, ২২টি সংসদেই অসংখ্য ‘ভূতুড়ে’ ভোটার। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা— শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, মালদহ থেকে প্রচুর ভোটারের নাম রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই অঞ্চলের ভোটার তালিকায়। ভোটার তালিকায় ওঠা ওই নামের পাশে থাকা ফোন নম্বরে ডায়াল করে চেক করা যায়। দেখা যায়, এরা কেউ দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসিন্দাই নন।
আরও পড়ুন:- দেদার AC চালিয়েও বিল কম আসবে, জেনে নিন সিক্রেট টিপস
আরও পড়ুন:- চিনকে ধাক্কা দিতে অস্ট্রেলিয়া আর আফ্রিকাতে এই জিনিসের খোঁজ চালাচ্ছে ভারত, জানতে বিস্তারিত পড়ুন