Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- চোখের জন্য চোখের কর্নিয়া পৌঁছে গেল এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে। আড়াই ঘণ্টার পথ। সড়কে কর্নিয়া নিয়ে ছুটে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার দরকার পড়ল না। একটি পাইলট প্রকল্পের হাত ধরে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এক অভিনব পথ খুলে দিল।
সবাই শহরে থাকেন না। একটা শহরে অনেকসময় রোগীকে নিয়ে পৌঁছে যাওয়াও সহজ হয়না। কিন্তু শরীরের সমস্যা তো আর জায়গা দেখে হয়না। তা প্রত্যন্ত গ্রামেও হতে পারে। সেখানে কাছের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকা উচিত।
সেই লক্ষ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। সেই উদ্যোগেই একটি পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে একটি ড্রোনের সাহায্যে শহর থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় চক্ষু চিকিৎসার প্রয়োজনীয় উপাদান পৌঁছে গেল।
আরও পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের জন্য সেরা বেসরকারি স্কলারশিপ ২০২৫। দেখে নিন
মানুষের কর্নিয়া এবং অ্যামনিওটিক মেমব্রেন পৌঁছে গেল নির্দিষ্ট স্থানে। হরিয়ানার সোনিপতের ডক্টর শ্রফস্ চ্যারিটি আই হসপিটাল থেকে ড্রোন এগুলি সযত্নে উড়িয়ে নিয়ে যায় ঝাঝরের একটি সাধারণ হাসপাতালে।
যেখানে সেগুলি পৌঁছনোর পর দ্রুত চিকিৎসার কাজে লাগানো হয়। ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় রোগীর চোখে। সময়মত ট্রান্সপ্লান্ট হওয়ায় রোগী এখন সুস্থ। তাঁর চোখও ভাল আছে।
একজন রোগীকে সঠিক সময়ে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করতে পারলে সবচেয়ে ভাল কাজ হয়। এই চোখের অংশ নিয়ে সড়ক পথে যাত্রা করলে সেগুলি পৌঁছতে আড়াই ঘণ্টা লাগত। সেখানে ড্রোন পৌঁছে দেওয়ায় ৪০ মিনিট লাগল।
ফলে এক্ষেত্রে অনেক দ্রুত ট্রান্সপ্লান্ট শুরু হতে পারল। ড্রোন দিয়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ ইত্যাদি যদি প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার বহুল প্রচলন শুরু হয় তাহলে তা অনেক মুমূর্ষু রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারবে।