Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ব্যাংক একাউন্টে টাকা রাখা মানেই নিরাপদ সঞ্চয় এটাই সাধারণ ধারণা। কিন্তু আপনি জানেন কি, এখন নিজের ইচ্ছা মতো টাকা জমা করলেই হতে পারে বিপদ? হ্যা, সরকার ও আয়কর দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি টাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা করলেই আপনার উপর আসতে পারে নজরদারি। অনেক সময় এই নজরদারি পরিণত হতে পারে মোটা অঙ্কের কর বা জরিমানায় চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে বড় খবর
আয়কর দপ্তর সব সময় নজর রাখে ব্যাংক লেনদেনে। কেউ যদি হঠাৎ করে বা নিয়মিত বড় অঙ্কের টাকা নিজের সেভিংস বা কারেন্ট একাউন্টে জমা করেন, তাহলে সেই তথ্য সরাসরি চলে যায় আয়কর বিভাগের কাছে। বিশেষত যদি টাকা জমার উৎস স্পষ্ট না হয়। তাই গ্রাহকদের এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন:- মে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কবে ঢুকবে? যদি টাকা না আসে, কী করবেন? জেনে নিন
কত টাকা জমা করলে সমস্যা হতে পারে?
- ব্যাংক একাউন্টে বছরে ১০ লক্ষ বা তার বেশি টাকা জমা করলেই রিপোর্ট যায় আয়কর দপ্তরে।
- কারেন্ট একাউন্টে বছরে ৫০ লক্ষ বা তার বেশি টাকা জমা পড়লে বাধ্যতা মূলকভাবে সেটি রিপোর্ট করতে হয়।
- এই সীমার চেয়ে বেশি টাকা জমা করলে আপনাকে দিতে হতে পারে ট্যাক্স রিটার্নে এর ব্যাখ্যা।
নগদ জমায় রয়েছে আলাদা বিধিনিষেধ
- যদি বছরে ১০ লক্ষের বেশি নগদ টাকা ব্যাংকে জমা করা হয়
- যদি এককালীন ২ লক্ষ বা তার বেশি নগদ লেনদেন হয়
- এমন পরিস্থিতিতে আয়কর দপ্তর আপনাকে নোটিশ পাঠাতে পারে এবং প্রমাণ চাইতে পারে অর্থের উৎস।
PAN এবং Aadhaar বাধ্যতামূলক
আপনি যদি বড় অঙ্কের টাকা জমা করেন, তাহলে সেই লেনদেনের সময় PAN এবং Aadhaar দেওয়া বাধ্যতা মূলক। যদি তা না করেন, তাহলে সেটি নিয়মভঙ্গ হিসেবে গণ্য হবে এবং আপনাকে জরিমানা গুনতে হতে পারে। আর কোন না কোন ভাবে যদি ব্যাংকের মানুষদের সমস্যা হয় তাহলে তারা আপনার ব্যাংক একাউন্ট সিজ বা আটকে দিতে পারে।
FD বা অন্য ডিপোজিটেও রয়েছে নজরদারি
শুধুমাত্র ব্যাংক একাউন্টে নয়, অন্য ধরনের ডিপোজিট যেমন Fixed Deposit (FD) এ বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করলেও তা রিপোর্ট হয়। বিশেষত যদি বছরে ১০ লক্ষ বা তার বেশি পরিমাণে FD করা হয়। আপনার ব্যাংক লেনদেন যেন স্বচ্ছ হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখুন। এই বিষয় গুলো মাথায় রাখলে আপনি অনেক ঝামেলা এড়াতে পারেন – সব সময় আয়কর রিটার্ন (ITR) ফাইল করুন, আয়কর ফাইল করার সময় ব্যাংক লেনদেনের বিবরণ দিন, বড় অঙ্কের জমার উৎসের প্রমাণ রাখুন, ব্যবসার ক্ষেত্রে লেনদেন হলে যথাযথ হিসাব রক্ষার কাগজ পত্র রাখুন।
আয়কর দপ্তরের কাছে রিপোর্ট হয় এমন লেনদেন
১ লক্ষ বা তার বেশি মূল্যমানের ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট, ২ লক্ষ বা বেশি মূল্যের নগদ লেনদেন, বড় অঙ্কের শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ, বড় জমি বা ফ্ল্যাট কেনা বেচা, এই ধরনের যে কোনো লেনদেন করলে অবশ্যই আয়কর রিটার্নে তা উল্লেখ করা জরুরি। নিজের টাকা নিজের একাউন্টে রাখার স্বাধীনতা থাকলেও, কিছু নিয়ম মানা জরুরি। আয়কর আইনের আওতায় থাকা সীমা ও শর্ত গুলি না মানলে শুধু জরিমানাই নয়, ভবিষ্যতে আইনি জটিলতাও তৈরি হতে পারে। তাই ব্যাংকে টাকা জমা করার আগে একবার নিয়মগুলো জেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুন:- বিজ্ঞানের নয়া আবিষ্কার, ক্রিম লাগালেই গায়েব হবে ভুঁড়ি! কীভাবে কাজ করে? জানুন
আরও পড়ুন:- ৬ মিনিট বাথরুম ব্যবহারের জন্য ৮০০ টাকা! দিনেদুপুরে ‘ডাকাতি’