Bangla News Dunia, Pallab : পিত্তপাথর হলো পিত্তথলিতে ছোট ছোট কঠিন পদার্থ বা পাথর যা পিত্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বা পিত্তছরণ থেকে গঠিত হতে পারে। এটি সাধারণত পিত্তথলির ভিতরে জমে গিয়ে পাথরের আকার ধারণ করে এবং পিত্তনালির মধ্যে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের উপর ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ জারি রেখেছে ভারত !
পিত্তপাথরের লক্ষণ:🤔🤔
1. পেটে ব্যথা: বিশেষ করে ডান দিকের উপরের অংশে প্রচণ্ড ব্যথা (পিত্তথলির অবস্থান)।
2. পিত্তথলির সংক্রমণ: জ্বালা বা খিঁচুনি অনুভূতি।
3. হজমে সমস্যা: তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে অস্বস্তি বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা।
4. বিকৃত ত্বক বা চোখ: জন্ডিস (ত্বক বা চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া)।
5. মাথাব্যথা বা বমি: পিত্তথলির প্রদাহ বা পাথরের কারণে।
6. গ্যাস, অম্বল বা শ্বাসকষ্ট: পিত্ত নালির মধ্যে বাধা সৃষ্টি হওয়া।
7. হালকা পেটের সমস্যা: মল ত্যাগের সময় সমস্যা বা মল খুব রক্তমিশ্রিত হতে পারে।
পিত্তপাথরের কারণ:🤔🤔
1. পিত্তথলির পিত্তে কোলেস্টেরলের অতিরিক্ত জমা: যখন পিত্তের কোলেস্টেরল বেশি থাকে, তখন তা পাথর আকারে জমে যায়।
2. অতিরিক্ত পিত্তের উৎপাদন: শরীর যখন অতিরিক্ত পিত্ত উৎপাদন করে, তখন পিত্তথলিতে পাথর তৈরি হতে পারে।
3. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: যেমন, গর্ভাবস্থা বা গর্ভনিরোধক ব্যবহার।
4. ডায়াবেটিস বা অস্টিওপোরোসিস: এই অবস্থাগুলোর ফলে পিত্তপাথর হতে পারে।
5. বয়স: ৪০ বছর বয়সের পর বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
6. বিভিন্ন রোগের কারণে পিত্তথলির কার্যকারিতা কমে যাওয়া।
7. অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও পুষ্টিহীনতা।
পিত্তপাথরের প্রতিকার:💐💐💐
1. খাদ্যাভ্যাস: তেল বা চর্বি কম খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গঠন করা।
2. পানি ও তরল খাবার: প্রচুর পানি পান করা, তাজা ফল ও সবজি খাওয়া।
3. ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন কমানো।
4. ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি ও যোগব্যায়াম করা।
5. চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ বা সাপ্লিমেন্ট নেয়া।
6. পিত্তথলির সমস্যা নিরসনে অস্ত্রোপচার (যদি পাথর বড় হয়ে যায়)।
আরও পড়ুন : ওষুধ ছাড়াই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে চান? জেনে নিন ঘরোয়া উপায়