Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুফল বাংলা প্রকল্পটি এক অভিনব উদ্যোগ, যার মূল লক্ষ্য কৃষকদের ন্যায্য দাম দেওয়া এবং শহরবাসীকে তাজা ও সাশ্রয়ী মূল্যের কৃষিজ পণ্য সরবরাহ করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার একদিকে যেমন মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে চায়, অন্য দিকে সাধারণ মানুষের রান্না ঘরের বাজেটও নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। সুফল বাংলা মূলত এক ধরনের স্টেট রান কৃষি পণ্য বিপণন ব্যবস্থা, যেখানে সরকার সরাসরি কৃষকদের থেকে পণ্য সংগ্রহ করে, এবং তা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের কাছে পৌছে দেয় ভ্রাম্যমাণ ভ্যান, অনলাইন অর্ডার এবং স্টল এর মাধ্যমে।
সুফল বাংলা প্রকল্প কী?
- কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শাক সবজি, ফল মূল ও অন্যান্য কৃষি পণ্য সরাসরি সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারেন।
- এর ফলে তারা পাইকারি বাজারে বা দালালদের কাছে ঠকেন না।
- সরকারের নির্ধারিত ন্যায্য দাম অনুযায়ী তারা পেমেন্ট পান।
- চাষিরা সহজে একটি নির্ভর যোগ্য বাজার পান।
- সরাসরি বাজার ব্যবস্থায় তাদের ঝুঁকি কমে এবং লাভ বাড়ে।
শহরবাসীর জন্য সুফল বাংলা প্রকল্পের সুবিধা
- সস্তায় তাজা পণ্য
- সুফল বাংলা ভ্যানের মাধ্যমে কেনাকাটা করলে
- মধ্যস্বত্ব ভোগী না থাকায় দাম তুলনা মূলক কম
- প্রতিদিন ভোরে কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়, তাই সবজি গুলো একেবারে তাজা।
বিশেষ করে কলকাতা ও শহরতলির কিছু এলাকায় অনলাইন অর্ডারের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি চালু হয়েছে। এই সুবিধার ফলে – বাজারে না গিয়েও বাসায় বসে তাজা শাক সবজি পাওয়া যায়, সময় এবং পরিবহন খরচ সাশ্রয় হয়। কার্বন ফুট প্রিন্ট হ্রাস, লোকাল পণ্য ব্যবহার বাড়ায় পরিবহন কম হয়, ফলে কার্বন নিঃসরণ কমে। শহরে সাশ্রয়ী দামে ভালো মানের পণ্য সরবরাহ হওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা আরও জোরদার হয়।
কোথা থেকে পাওয়া যাবে সুফল বাংলা প্রকল্পর পণ্য?
শহরের বিভিন্ন পাড়া ও এলাকায় নির্দিষ্ট সময় সীমায় ঘোরে, প্রতিদিন সকাল ও বিকেল বেলা এই ভ্যান গুলো পাওয়া যায়। সুফল বাংলা প্রকল্পের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার করা যেতে পারে এবং কিছু নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালু আছে বলে জানা গেছে, কিন্তু খুব সীমিত লেভেলে হওয়ার কারণের জন্য রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষেরা এই সুবিধা পাচ্ছেন না।
সুফল বাংলা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আরও জেলা ও গ্রামকে প্রকল্পের আওতায় আনা, হিম ঘর ও সরবরাহ চেইন আরও আধুনিক করা, অনলাইন অর্ডারিং ও মোবাইল অ্যাপ উন্নত করা, কৃষক পায় ন্যায্য দাম, শহর বাসী পায় সাশ্রয়ী পণ্য, তাজা ও নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ, মধ্যস্বত্ব ভোগী বাদ, লাভ পান কৃষক, পরিবেশ বান্ধব এবং স্থায়ী কৃষি ব্যবস্থার পথে এক ধাপ এগোনো। এই সুবিধা চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আরও কিছু সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:- ১ লক্ষ ফুট উচ্চতায় বেলুন ওড়াল নাসা, কারণটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, জেনে নিন
আরও পড়ুন:- শিশুদের হেলথ ড্রিঙ্কস খাওয়ানো কি ভাল? জানুন কী বলছেন ডাক্তাররা