Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- গভীর রাতে প্রতিবেশীদের ঘুম ভাঙে ‘আমাদের বাঁচাও’, ‘মরে গেলাম’ চিৎকারে ৷ প্রতিবেশীরা ছুটে এলে দেখতে পান, পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের প্রথম দুই তলায় আগুন লেগেছে ৷ ওই দু’তলায় রয়েছে জুতো তৈরির কারখানা ৷ সেখানেই আগুন লাগে ৷ তারপর তা ভয়াবহ রূপ নেয় ৷ রবিবার রাত 1টা 15 মিনিট নাগাদ উত্তরপ্রদেশের কানপুরের চমনগঞ্জ এলাকার প্রেম নগরের ওই পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে মৃত্যু হয় স্বামী, স্ত্রী-সহ তিন কন্যাসন্তানের ৷
ঘটনাক্রমে জানা গিয়েছে, জুতো তৈরির কারখানা বাদ দিয়ে অন্যান্য অংশে বেশকিছু পরিবারের বাস ছিল ৷ আগুন দেখেই বাকিরা বেরিয়ে আসতে পারলেও স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের সন্তানরা বেরিয়ে আসতে পারেননি ৷ স্থানীয়রা দমকল বাহিনী এবং পুলিশকে খবর দেয়। দমকলের 6টি ইঞ্জিন পৌঁছয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৷ সেই মুহূর্তে ওই পরিবার চিৎকার করতে থাকে ৷ কিন্তু, দমকল বাহিনীর আধিকারিকরা প্রাণপ্রণ চেষ্টা করেও তাঁদের প্রাণে বাঁচাতে পারেননি।
দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, 45 বছরের মহম্মদ দানিশ এবং তাঁর স্ত্রী নাজনীন সাবার (42) মৃতদেহ ভবনের চারতলা থেকে উদ্ধার হয়েছে। দমকলকর্মীদের চার তলায় পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় কয়েক ঘণ্টা তারপর তাঁরা গিয়ে দেখেন, দম্পতি ঝলসে গিয়েছে ৷ একেবারে ছাদে প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে আটকে যায় দম্পতির তিন মেয়ে ৷ একজন সারা (15), অন্যজন সিমরা (12) এবং ছোট ইনায়া (7)-দেরও ঝলসে মৃত্যু হয় ৷
দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিল্ডিংয়ে কোনও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। যদি যথাযথ উদ্ধার ব্যবস্থা থাকত, তাহলে সময়মতো আগুন নিভিয়ে ফেলা যেত। সেইসঙ্গে বিল্ডিংয়ে আসার যে রাস্তা তা সরু হওয়ার কারণে, ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িগুলিকেও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে অনেক হিমশিম খেতে হয় ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় 5 ঘণ্টা সময় লাগে ৷ আটকে পড়া পাঁচ জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান ৷
সাসামউয়ের এসিপি মনজয় সিং বলেন, “আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি ৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জুতোর কারখানায় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে, যার জেরে ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায় ৷ সেই কারণেই পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয় ৷”
আরও পড়ুন:- সুফল বাংলা প্রকল্পে কৃষক ও শহরবাসীর জন্য বিরাট সুখবর, বিস্তারিত জেনে নিন