Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পহেলগাঁও হামলার আবহে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য মকড্রিল করাতে হবে রাজ্যগুলোকে। কেন্দ্রের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হল। সূত্রের খবর এমনটাই। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত যে কোনও সময় প্রত্যাঘাত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তার পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য রাজ্যগুলোও যাতে প্রস্তুত থাকে, সেজন্য কেন্দ্র সরকার এই নির্দেশ দিয়েছে বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যগুলোকে কোন কোন ক্ষেত্রে মকড্রিল দিতে হবে তারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, রাজ্য়গুলোকে জানানো হয়েছে,বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন চালু, শত্রুপক্ষ আক্রমণ করলে কীভাবে নাগরিকদের রক্ষা করা হবে, শিক্ষার্থীদের কীভাবে বাঁচানো যাবে তার মহড়া দিতে হবে।
এছাড়াও দুর্ঘটনার পর কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাবে, দ্রুত এক জায়গা থেকে সরে অন্য জায়গায় কীভাবে যাওয়া যাবে তা নিয়েও মহড়া চলবে। আগামী ৭ মে এই মহড়া হবে।
জানা যাচ্ছে, এই ধরনের মহড়া শেষবার হয়েছিল ১৯৭১ সালে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়। সেবারও কেন্দ্রের তরফে দেওয়া নির্দেশ কার্যকর করেছিল রাজ্যগুলো। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সব ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য এমন মহড়া দেওয়া হয়ে থাকে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ২৬ জন নিহত হন। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। অভিযোগ, ধর্ম জিজ্ঞাসা করে মারা হয় পর্যটকদের। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ভারতীয় গোয়েন্দারা পাকিস্তানের যোগ পায়। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের মতো পদক্ষেপ করা উচিত পাকিস্তানের উপর। এমন দাবি ওঠে দেশজুড়ে।
ইতিমধ্যেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল সিন্ধুর জল বন্ধ। এই চুক্তি স্থগিত রাখার ফলে বিপাকে পাক নাগরিকরা। তাদের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ভারতকে।
তবে কেন্দ্র সরকার সাফ জানিয়েছে, যে বা যারা হামলা চালিয়েছে ও তাদের যারা মদত দিয়েছে তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী খোদ জানিয়েছেন, ‘শত্রুদের এমন জবা দেওয়া হবে যা তারা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি।’