Bangla News Dunia, দীনেশ :- ২০১৯ সালে গুজরাতের ভাদনগরে খননকার্য চলাকালীন উদ্ধার হয় একটি হাজার বছরের পুরনো মানব কঙ্কাল। দেখা যায়, পায়ের ওপর পা তুলে ঠিক যেন বসে থাকার ভঙ্গীতে রয়েছে এই মূল্যবান প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনটি। এই ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে ৬ বছর, তবুও এই মানব কঙ্কালটির ঠাই হয়নি কোনও জাদুঘরে। কারণ কর্মকর্তারা এখনও এটাই স্থির করে উঠতে পারেননি যে, কঙ্কালটির দায়িত্ব কে নেবে। ফলত এই মূল্যবান প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনটির ঠাই হয়েছে একটি অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে, যার অদূরেই রয়েছে নতুন গড়ে ওঠা একটি স্থানীয় প্রত্নতাত্বিক জাদুঘর।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি করেন প্রত্নতাত্ত্বিক অভিজিৎ আম্বেকর। গুজরাতের ভাদনগর এলাকায় খননকার্য চালানোর সময় একটি মানুষের খুলির ওপরের অংশের মতো কিছু চোখে পড়ে তাঁর। এরপর তাঁর দল আরও গভীরে খনন করলে তাঁরা একটি গর্তে সুসংরক্ষিত অবস্থায় ওই মানব কঙ্কালের ধ্বংসাবশেষটি দেখতে পান। জানা গিয়েছে, এই হাজার বছর পুরনো মানব কঙ্কালটি ঠিক যেন ধ্যানের ভঙ্গিতে বসে থাকা অবস্থায় উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গে টোটো নিয়ে নতুন নিয়ম চালু, জানা জরুরি
এই প্রসঙ্গে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ(ASI)বিভাগের মুম্বই ডিভিশনের প্রধান অভিজিৎ আম্বেকর জানান, প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে কঙ্কালটি সম্ভবত সোলাঙ্কি আমলের। প্রসঙ্গত, সোলাঙ্কি রাজবংশ যা চৌলুক্য রাজবংশ নামেও পরিচিত, ৯৪০ থেকে ১৩০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অধুনা গুজরাতের কিছু অংশ শাসন করেছিল।
অভিজিৎ বলেন, ‘কঙ্কালটি কেবল ভাদনগরের জন্য নয়, সমগ্র দেশের জন্য একটি অত্যন্ত মূল্যবান আবিষ্কার। এটি আমাদের পূর্বপুরুষদের জীবনযাপন বুঝতে সাহায্য করতে পারে এবং অতীত সম্পর্কে এমন বিশদ তথ্য প্রকাশ করতে পারে যা এখনও অজানা।’ তবে এতোটা বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও, কঙ্কালটি এখনও কোনও সঠিক এবং স্থায়ী আশ্রয়স্থল খুঁজে না পাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:- মে মাসে ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ে নিয়ম বদলেছে, না জানা থাকলে জেনে নিন
তিনি আরও বলেন, ‘ভাদনগরে ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এএসআই(ASI) দ্বারা খনন করা এবং গুজরাত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা প্রায় ৯,০০০ টি প্রত্নবস্তু স্থানীয় জাদুঘরে রাখা হয়েছে, শুধুমাত্র কঙ্কালটি ছাড়া।’
তবে এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের দাবি, কঙ্কালটি এখনও এএসআই-এর দখলে রয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তরের পরিচালক পঙ্কজ শর্মা বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায়, এটি(কঙ্কাল)জাদুঘরে রাখা হয়নি।’