Bangla News Dunia, Pallab : লালকেল্লাকে নিজের সম্পত্তি বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুলতানা বেগম নামে এক মহিলা। তাঁর দাবি ছিল, তিনি শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের প্রপৌত্রের বিধবা স্ত্রী। তাই উত্তরাধিকার বলে তিনিই আসল মালকিন লালকেল্লার। যদিও সুলতানার এহেন দাবি সোমবার পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন : হঠাৎ কে মোদির কার্যালয়ে গেলেন রাহুল ও প্রধান বিচারপতি ?
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার মামলাটি ওঠে। সুলতানার আবেদন একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা। তাঁরা বলেন, ‘শুধু লালকেল্লা কেন? ফতেপুর সিক্রিও তো হতে পারে! এই রিট একেবারেই অযৌক্তিক। খারিজ করা হল।’
এই মামলাটি আগে দিল্লি হাইকোর্টে উঠেছিল। প্রথমে একক বেঞ্চ, পরে ডিভিশন বেঞ্চেও। একক বেঞ্চে মামলাটি অনেক আগেই খারিজ হয়ে যায়। গত বছরের ডিসেম্বরে হাইকোর্টেও বিচারপতি বিভু বখরু এবং বিচারপতি তুষাররাও গেদেলার বেঞ্চে মামলাটির একই পরিণতি হয়। সেই সময় ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, একক বেঞ্চে মামলাটি খারিজ হওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে দেরি হওয়ার জন্যই তা খারিজ করা হচ্ছে। একক বেঞ্চে খারিজ হওয়ার প্রায় আড়াই বছর পরে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন সুলতানা।
সুলতানা বেগমের দাবি, ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ব্রিটিশরা জোর করে তাঁদের পরিবার থেকে লালকেল্লা ছিনিয়ে নেয়। বিদ্রোহের অন্যতম মুখ বাহাদুর শাহ জাফরকে নির্বাসনে পাঠানো হয় বর্মার রেঙ্গুনে (বর্তমানে ইয়াঙ্গন, মায়ানমার)। ১৮৬২ সালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর দাবি ছিল, লালকেল্লা বর্তমানে ‘অবৈধভাবে সরকারের দখলে রয়েছে’ এবং তিনি তার মালিকানা ও ক্ষতিপূরণ চান।