ভারত-পাক সংঘর্ষে উঠে এল কিছু নতুন শব্দ, চাকরিপ্রার্থীদের কাজে লাগবে, জেনে নিন অর্থ

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারত-পাকিস্তান কিংবা ভারত-চিন সংঘাতে প্রায়শই উচ্চারিত হয় LOC, LAC, C-UAS, ATAGS-এর মতো শব্দ। কিন্তু আপনি জানেন কি এগুলোর প্রকৃত মানে কী? এই প্রতিবেদনে এক ঝলকে জেনে নিন সেনাবাহিনীর ১২টি গুরুত্বপূর্ণ শব্দের সহজ বাংলা ব্যাখ্যা। আসুন নিজের তথ্য়ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে নিই। বিশেষ করে যাঁরা চাকরিপ্রার্থী, তাঁদের কারেন্ট অ্যাফায়ার্সের জন্য দারুণ কাজে লাগবে।

LAC (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল)
এটি ভারত ও চিনের মধ্যে প্রায় ৩,৪৮৮ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত, যা মূলত একটি অনানুষ্ঠানিক বিভাজন রেখা। এটি পশ্চিমে লাদাখ থেকে শুরু করে পূর্বে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। চিন এই রেখাকে প্রায় ২,০০০ কিমি বলে দাবি করে। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

LOC (লাইন অফ কন্ট্রোল)
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাস্তবিক নিয়ন্ত্রণরেখা, যা মূলত জম্মু ও কাশ্মীরকে ভাগ করে। এটি সাময়িক সামরিক রেখা, তবে কূটনৈতিক চুক্তি (সিমলা চুক্তি, ১৯৭২) অনুযায়ী স্বীকৃত।

আন্তর্জাতিক সীমান্ত (International Border)
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত সীমান্তরেখা, যা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত। এটি পাঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাটের মধ্যে বিস্তৃত। আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত এই রুটেই পড়ে।

LAC, LOC এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের পার্থক্য

LAC: ভারত-চিন অনানুষ্ঠানিক সীমা

LOC: ভারত-পাকিস্তান সামরিক বিভাজনরেখা

আন্তর্জাতিক সীমান্ত: আন্তর্জাতিক স্বীকৃত স্থায়ী সীমান্ত

আরও পড়ুন:- মুখোমুখি না পেরে অন্য ‘শয়তানি’ পাকিস্তানের, বিস্তারিত জেনে নিন

C-UAS (Counter Unarmed Aerial System)
ভারতীয় সেনার আধুনিক ব্যবস্থা যা শত্রুপক্ষের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অননুমোদিত আকাশযান সনাক্ত করে এবং ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে রাডার, আরএফ সেন্সর, অপটিক্যাল ক্যামেরা এবং শব্দ শনাক্তকারী ব্যবস্থাও থাকে।

বায়ু প্রতিরক্ষা রাডার (Air Defence Radar)
আকাশপথে হুমকি শনাক্ত করতে ব্যবহৃত বিশেষ সেন্সর যা বিমান, ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাক করে। ভারতীয় সেনার নিজস্ব রাডার যেমন রাজেন্দ্র, সোর্ডফিশ এবং রোহিণী এর অন্তর্ভুক্ত।

টেকনিক্যাল ইনস্টলেশন
রাডার, কমিউনিকেশন ব্যবস্থা এবং ড্রোন লঞ্চার সহ যেসব প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়, তা এই ক্যাটাগরির অন্তর্গত।

কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার (C&CC)
যুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেন্দ্র। এখান থেকেই সেনা চলাচল, আক্রমণ বা প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

রাডার সাইট
যেসব স্থানে সেনার রাডার বসানো হয় এবং সেখান থেকে শত্রুপক্ষ ট্র্যাক করা হয়।

টিউব ড্রোন সিস্টেম
এটি একটি ড্রোন লঞ্চিং সিস্টেম, যেখানে ক্যানিস্টারের মতো টিউব থেকে ড্রোন ছোড়া হয়। নজরদারি বা আক্রমণের জন্য এই ড্রোন ব্যবহৃত হয়।

ATAGS (Advanced Towed Artillery Gun System)
অত্যাধুনিক কামান ব্যবস্থা, যা ভারতীয় সেনা নিজেই তৈরি করেছে। এটি বৈদ্যুতিকভাবে চালিত এবং দূর পাল্লার নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম।

আর্তিলারি রেজিমেন্ট
সেনাবাহিনীর কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনার একটি বিশেষ ইউনিট, যারা যুদ্ধের সময় শত্রুর প্রতিরক্ষা ভেঙে দিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

আরও পড়ুন:- কেন পাকিস্তানের মতো ধসে যায়নি ভারতের শেয়ার বাজার? কারণ জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন