Bangla News Dunia, Pallab : এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আবহাওয়ার চরম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে, আবার উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এরই মাঝে আন্দামান সাগরে মৌসুমী বায়ুর আগমন আগামী বর্ষার ইঙ্গিত দিচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যেই বর্ষা আন্দামান ও নিকোবর অঞ্চলে ঢুকে পড়বে, এরপর ধাপে ধাপে মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে।
আরও পড়ুন : মোবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসে ডিজিটাল বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করার পদ্ধতি জেনে নিন
তাপপ্রবাহে জেরবার দক্ষিণবঙ্গ
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম জেলায় ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে গেছে। শনিবার থেকে শুরু করে সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই অঞ্চলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও বেশি, ফলে গরমের অস্বস্তিও তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে বাইরে না যাওয়াই ভালো।
কলকাতার আবহাওয়া
কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আগামী কয়েকদিন তীব্র গরম ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে। তাপমাত্রা প্রতিদিন গড়ে ৩৮ ডিগ্রি ছাড়াচ্ছে এবং বাতাসে আর্দ্রতা থাকায় ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা। বেলা যত গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে অস্বস্তি। তবে আগামী বুধবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে নাগরিকদের।
উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় আগামী কয়েকদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার ও সোমবার মালদহ এবং দুই দিনাজপুর জেলায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
আগাম বর্ষার বার্তা
আবহাওয়া দফতরের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দ্রুত এগোচ্ছে এবং আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যেই বর্ষা আন্দামান ও নিকোবর অঞ্চলে ঢুকে পড়বে। এরপর ধাপে ধাপে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ ঘটবে। কৃষিজীবীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর, কারণ বর্ষা নির্ভর ফসলের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন : ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু নীতি কী ? পরমাণু হামলা কখন করা যায়? ? জানা জরুরি