Bangla News Dunia, Pallab : বর্তমান সময়ে ব্যবসা করার ইচ্ছা অনেকের থাকলেও মূলধনের অভাব, সঠিক আইডিয়ার অভাব কিংবা ভয়—অনেক কারণেই পিছিয়ে পড়েন বহু আগ্রহী ব্যাক্তিও। কিন্তু এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলি খুব কম ঝুঁকি এবং সীমিত বিনিয়োগে শুরু করা সম্ভব শুধু তাই নয়, আয় করা সম্ভব মাসিক ৬০-৭০ হাজার। আজকের ব্যবসার আইডিয়াটি হলো ATM ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা। আপনি যদি স্থায়ী ইনকামের রাস্তা খুঁজে থাকেন, তাহলে কিছু পুঁজি খাটিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আরও পড়ুন : রাজ্যের নতুন পেনশন প্রকল্পে প্রতিমাসে পাবেন ১০০০ টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন
সম্পর্কিত পোস্ট
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি ও চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের জন্য সুখবর, বাড়লো বেতন, পেনশন ও মহার্ঘ ভাতা – WB Government Employees Salary Update
কেন ATM Franchise Business বেছে নেবেন?
আমরা সকলে ভারতে নগদ লেনদেন এখনো এক বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চল—সর্বত্র ATM-এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিটি বড় ব্যাঙ্ক যেমন SBI, ICICI, HDFC, Axis Bank সহ বিভিন্ন কোম্পানিও নিজেদের ATM বসানোর কাজ করে থাকে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে। এই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমেই আপনি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কোন কোন কোম্পানি ATM ফ্র্যাঞ্চাইজি দেয়?
ভারতের বাজারে কয়েকটি স্বীকৃত সংস্থা আছে যাদের সঙ্গে ব্যাঙ্কগুলির চুক্তি রয়েছে। যেমন –
- Tata Indicash
- Muthoot ATM
- India One ATM
- অন্যান্য
এই সংস্থাগুলির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হয়। সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এই ক্ষেত্রে প্রতারণার আশঙ্কাও থেকে যায়। কখনোই অজানা লিঙ্ক বা ব্যক্তি থেকে ফর্ম ফিলআপ করবেন না। শুধু সরকারি ও স্বীকৃত সংস্থার ওয়েবসাইট থেকেই আবেদন করবেন।
এই ব্যবসার শর্ত সমূহ
- ATM বসানোর জন্য প্রয়োজন ৫০-৮০ বর্গফুট জায়গা। নিজের কিংবা রেন্ট উভয় চলবে।
- অন্য কোন ATM থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরে থাকতে হবে।
- ঘরটির স্থায়ী ছাদ ও পাকা দেওয়াল থাকতে হবে।
- যথা স্থানে ১ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সংযোগ বাধ্যতামূলক।
- VSAT ইনস্টল করার জন্য এলাকার বাসিন্দাদের NOC (No Objection Certificate) নিতে হবে।
- স্থানে সহজে মানুষের নজরে পড়া উচিত, যেমন বাজার এলাকা, হাসপাতাল, স্কুল সংলগ্ন এলাকা খুব উপযোগী হবে তবে বাধ্যতামূলক না।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সমূহ
ATM ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে হলে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। যেমন-
- আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড (পরিচয়ের জন্য)
- রেশন কার্ড বা বিদ্যুৎ বিল (ঠিকানা প্রমাণ)
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস, পাসবুকের কপি
- GST নম্বর ও অন্যান্য আর্থিক তথ্য
- জায়গার খতিয়ান অথবা ভাড়ার চুক্তিপত্র