Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত। অপারেশন সিঁদুর অভিযানের পর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর পোস্ট ঘিরে মঙ্গলবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় বারাসতের টালিখোলা এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরাও। শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
অভিযোগ, টালিখোলার বাসিন্দা নাজিম হোসেন এবং তাঁর পুত্র ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য পোস্ট করেন। এই পোস্ট ভাইরাল হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাতেই উত্তেজিত জনতা বারাসত-ব্যারাকপুর রোড অবরোধ করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে, যার পেছনে রয়েছে দেশবিরোধী মানসিকতা।
বিক্ষোভকারীদের একাংশ দাবি করেন, যেখানে দেশের অন্যান্য রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসনের ভূমিকা ঢিলেঢালা। তাঁদের মতে, এই ধরণের মন্তব্য শুধু ঘৃণা ছড়ায় না, বরং জাতীয় নিরাপত্তাকেও বিপন্ন করে।
অবরোধ তুলতে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে বারাসাত থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় এলাকায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। তবে তাতেও থামেনি বিক্ষোভ। বরং পুলিশের উপর চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। ইটবৃষ্টি শুরু হয় পুলিশের দিকে। তাতেই গুরুতর জখম হন পুলিশকর্মী তাপস কর্মকার।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পাশাপাশি ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। প্রশাসনের দাবি, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের খুঁজে বার করে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
এই ঘটনায় ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার ও রাষ্ট্রনেতাদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন:- গাড়িতে উঠলেই হড়হড়িয়ে বমি হয়? মোশন সিকনেশ কাটানোর টোটকা জেনে রাখুন
আরও পড়ুন:- পিএম কিষান সন্মান নিধি যোজনার ১৯ তম কিস্তির টাকা পেতে এই নিয়ম মানতে হবে কৃষক বন্ধুদের