Bangla News Dunia, দীনেশ :- কর্নেল সোফিয়া কুরেশির (Colonel Sofiya Qureshi) ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বিজেপি নেতা (BJP leader) তথা আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী (Tribal Welfare Minister) বিজয় শা (Vijay Shah)। কর্নেল কুরেশিকে জঙ্গি সম্প্রদায়ের বোন বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যার জেরে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন বিজেপি মন্ত্রী। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই বিজয় শায়ের মন্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য এবং অসংবেদনশীল বলে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন:- কর্নেল কুরেশিকে ‘জঙ্গিদের বোন’ তকমা বিজেপি নেতার, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
এদিন প্রধান বিচারপতি মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আপনি কী ধরণের মন্তব্য করছেন? আপনার অন্তত একটু সংবেদনশীলতা দেখা উচিত। যান, হাইকোর্টে গিয়ে ক্ষমা চান।’ কর্নেল কুরেশির ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের কারণে বুধবার বিজেপি মন্ত্রী বিজয় শায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। কিন্তু গ্রেপ্তারি থেকে বাঁচতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষার আবেদন জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। তবে সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এদিন তাঁকে বলেছে, ‘একদিনে আপনার কিছুই হবে না। আপনি জানেন আপনি কী রকম মানুষ।’
আরও পড়ুন:- বিষাক্ত ভেজাল নুন খাচ্ছেন না তো? এই ভাবে জল দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারেন
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই সফল অভিযানের পর বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রীর সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং। এরপরই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রশংসা করতে গিয়ে কর্নেল সোফিয়ার ধর্মীয় পরিচয় টেনে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন বিজেপির মন্ত্রী বিজয় শা। তিনি বলেছিলেন, ‘যারা (জঙ্গিরা) আমাদের বোনদের বিধবা করেছিল, তাদের (জঙ্গিদের) শিক্ষা দিতে তাদেরই এক বোনকে পাঠানো হয়েছিল। ওরা আমাদের হিন্দু ভাইদের পোশাক খুলে ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে হত্যা করেছে। তাই মোদিজি ওদের সম্প্রদায়ের বোনকেই ওদের পোশাক খুলে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।’ এরপরই তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েন তিনি। কংগ্রেসের তরফে বিজয়কে রাজ্য মন্ত্রীসভা থেকে অপসারণের দাবিও তোলা হয়। যদিও বিতর্ক বাড়তেই ক্ষমা চেয়ে বিজয় জানিয়েছিলেন, তাঁর কথা সমাজ ও ধর্মকে আঘাত করে থাকলে, তিনি দশবার ক্ষমা চাইতেও প্রস্তুত। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। বরং এবার শীর্ষ আদালতেও জোর ধাক্কা খেলেন তিনি।
আরও পড়ুন:- নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে ২৮ লক্ষ নারকেল গাছ, কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন
