Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘ভারত আমেরিকাকে ‘জিরো ট্যারিফ’ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে,’ শুক্রবার ফের দাবি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর ক্ষেত্রে নিজের ভূমিকা ব্যাখা করতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েই তিনি শুল্ক বা ট্যারিফের প্রসঙ্গ তোলেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তীব্র উত্তেজনা ছিল। আমি তখন বললাম, বাণিজ্য নিয়ে কথা বলা যাক। আমরা ব্যবসা অনেক বাড়াব।’
ভারতকে বিশ্বের অন্যতম ‘উচ্চ ট্যারিফ আরোপকারী দেশ’ বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি জানান, বাণিজ্যকেই তিনি অস্ত্র করে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা জানেন, ওরা আমেরিকার জন্য ওদের ট্যারিফে ১০০ শতাংশ ছাড় দিতে রাজি হয়েছে?’ যদিও এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে এহেন কোনও চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
আরও পড়ুন:- গাজা থেকে ১০ লক্ষ প্যালেস্তাইনবাসীকে লিবিয়া পাঠানো হবে, কি পরিকল্পনা ট্রাম্পের? জানুন
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, এর আগে সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, ভারত-আমেরিকার বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের ফোনে কোনও কথাই হয়নি। সেই সময় ‘অপারেশন সিঁদুরে’র প্রসঙ্গেই আলোচনা হয়েছিল। ৭ মে-র অভিযানে পাকিস্তান ও পিওকে-র ভিতরে থাকা নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়।
ভারতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি কবে হবে? ট্রাম্পের কাছে এরপর জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘খুব শীঘ্রই হবে। তবে আমার কোনও তাড়াহুড়ো নেই। দেখুন, সবাই আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে চায়…’ তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়াও চায়… কিন্তু আমি সবার সঙ্গে চুক্তি করব না। আমি লিমিট স্থির করে চলব। কয়েকটা চুক্তি করব… কারণ এত মানুষের সঙ্গে তো একসঙ্গে বসা যায় না। আমার কাছে ১৫০টি দেশের চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে।’
গত ৭ দিনে এ নিয়ে সপ্তমবার ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতিতে তাঁর হস্তক্ষেপ ছিল বলে দাবি তুললেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, শনিবার থেকেই ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে। ওয়াশিংটনে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু হতে চলেছে। বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটনে পৌঁছে গিয়েছেন।