Bangla News Dunia, দীনেশ :- এবছর পারদ যেন কিছুটা বেশিই উঠছে। গ্রীষ্মের দাবদহ হারে হারে টের পাচ্ছে রাজ্যবাসী। প্রখর রোদ আর তাপপ্রবাহে যেন হাঁসফাঁস করছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য। আর এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দিতে গরমের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জানা যাচ্ছে, এবার বেশিরভাগ রাজ্যের স্কুল খুলবে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে।
আরও পড়ুন:- এই বোমা ১,০০০ পরমাণু বোমার সমান! ধ্বংস করে ফেলতে পারে গোটা দেশ । বিস্তারিত জেনে নিন
প্রচন্ড গরমে ঝুঁকিতে পড়ছে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য
গরমে তাপমাত্রা যে হারে বাড়ছে, তাতে শরীরের জলশূন্যতা, হিটস্ট্রোক, ক্লান্তি, চর্ম রোগের মত সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। আর সেই কারণেই দেশের শিক্ষাদপ্তর গুলির পক্ষ থেকে আগেভাগেই গরমের ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল।
তবে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই তাপপ্রবাহ এত সহজে থামবে না। তাই নতুন করে গরমের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।
আরও পড়ুন:- পৃথিবীজুড়ে খিদের যন্ত্রণা বেড়েই চলেছে, প্রকাশ্যে এসে পড়ল হাড় হিম করা সত্য
ছুটি থাকছে ১৬ জুলাই পর্যন্ত
শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এ বছর অতিমাত্রায় তাপ প্রবাহের কারণে দেশের প্রায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের গরমের ছুটি ১৬ জুলাই, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এই নির্দেশিকা গোটা দেশের স্কুলগুলির জন্যই কার্যকর হবে।
রাজ্যভিত্তিক ছুটির সময়সূচী
- পশ্চিমবঙ্গে ছুটি শুরু হবে আগামী ২ জুন ২০২৫ থেকে এবং স্কুল খুলবে ১৭ জুলাই, ২০২৫ তারিখে।
- দিল্লি, তামিলনাড়ু, বিহারের মতো রাজ্যগুলিতে ছুটি শুরু হবে ১ জুন, ২০২৫ এবং স্কুল খুলবে ১৬ জুলাই, ২০২৫ তারিখে।
- মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলিতে ছুটি শুরু হবে আগামী ৩০ মে, ২০২৫ এবং স্কুল খুলবে ১৪ জুলাই, ২০২৫ তারিখে।
- রাজস্থানে ছুটি শুরু হবে ৩১ মে, ২০২৫ এবং স্কুল খুলবে ১৫ জুলাই, ২০২৫ তারিখে।
আরও পড়ুন:- বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য কেন্দ্রের পুরস্কার পেলো কলকাতা, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আর হিসাব দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, এবছর গরমের ছুটি প্রায় ৪৬ দিন মত রাখা হচ্ছে। সাধারণভাবে এই ছুটি মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় ও জুন মাসের শেষ নাগাদ শেষ হয়। তবে এবার পরিস্থিতি যেন কিছুটা বদলে গিয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছে, প্রতিবছর গরমের তাপমাত্রা হু হু করে বাড়ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন তো স্পষ্ট। তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে যে বিরাট ভূমিকা রাখবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।