সমুদ্রের তলদেশে ভরছে প্লাস্টিক। যা সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রকে ক্রমশ বিপজ্জনক দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে সামুদ্রিক জীবনের জন্যও প্রাণঘাতী হচ্ছে সমুদ্রের জলে মেলা প্লাস্টিক। যা নিয়ে বহুদিন ধরেই চিন্তায় পৃথিবী। মুক্তির উপায়ও খুঁজে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : বাজারে আসছে নয়া ২০ টাকার নোট ! আগের গুলো কি বাতিল হচ্ছে ?
অনেক সময় উপকূল ঘেঁষা সমুদ্রের তলদেশে অভিযান চালিয়ে তুলে আনা হচ্ছে টন টন প্লাস্টিক। সেই সমুদ্রের জলে মেশা প্লাস্টিক আবর্জনা থেকে মুক্তির নতুন উপায় খুঁজে পেতে এবার ভারত আরও তৎপর হল। এই তৎপরতা ও উপায় খোঁজায় সঙ্গে নিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে।
তবে এখানেই শেষ নয়। ভারত ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে সার্বিক জঞ্জাল মুক্তির উপায় খুঁজতে সবুজ হাইড্রোজেনের কথা ভাবছেন। জঞ্জাল থেকে হাইড্রোজেন, এই লক্ষ্য স্থির করেই রাতদিন এক করে গবেষণায় মন দিতে চাইছেন তাঁরা। যা পৃথিবীকে সুস্থ করে তুলতে পারে।
জঞ্জাল থেকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় হাইড্রোজেনও প্রস্তুত করতে পারে। এতে এক ঢিলে ২ পাখি মারার প্রবাদকেই সামনে রাখছেন ভারত ও ইইউ-এর বিজ্ঞানীরা। একদিকে যেমন জঞ্জাল মুক্ত করার একটা উপায় বার হবে, তেমনই তৈরি করা যাবে হাইড্রোজেন।
পরিবেশ রক্ষা এখন বিশ্বজুড়েই একটা চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যে ছুটে একটা সময়োপযোগী সমাধান বার করাই এখন ভারত ও ইইউ-এর গবেষকদের প্রধান লক্ষ্য।
এক আধুনিক প্রযুক্তি তৈরি করে পরিচ্ছন্ন টেকসই সমাধান পাওয়া ভারত ও ইইউ-এর জন্য পরিবেশগত ভাবে যেমন বড় প্রাপ্তি হতে পারে, তেমনই তা তাদের অর্থনৈতিক দিককেও শক্তিশালী করতে পারে।
আরও পড়ুন : Big News : এবার আর ৮ ঘণ্টা নয়, ৬ ঘণ্টা ডিউটি করতে হবে ! বড় ঘোষণা নবান্নের