পশ্চিমবঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) সংক্রান্ত মামলা এবং চাকরিহারাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এবং পুলিশের তদন্তের মধ্যে চাকরিহারারা তাদের দাবিতে অনড়। এই ব্লগ পোস্টে আমরা এই মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরব।
আরও পড়ুন : যৌন সমস্যায় সন্তানহীনতা ? স্থায়ী সমাধান হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
মূল বিষয়:
- আদালতের নির্দেশ ও বিক্ষোভ: আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টে শুনানির সময় তাঁদের বলা হয়েছিল যে বিকাশ ভবনের সামনে ৫০ থেকে ১০০ জন শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারবেন এবং সেন্ট্রাল পার্কে লিখিত অনুমতি নিয়ে বড় জমায়েত করা যাবে। তবে, এই বিষয়ে এখনও কোনও লিখিত নির্দেশ আসেনি। ফলস্বরূপ, বিক্ষোভকারীরা তাঁদের বর্তমান অবস্থানেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
- সরকারের বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ: শিক্ষক নেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডলের অভিযোগ, রাজ্য সরকার তাঁদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তাঁর এবং অন্যান্য শিক্ষক নেতা ও গ্রুপ ডি স্টাফ সুদীপ কোনারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
- বিক্ষোভকারীদের দাবি: আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে ওএমআর শিটের মিরর কপি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও, যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পর্যালোচনা করে যোগ্যদের চাকরি সুনিশ্চিত করার দাবিও তুলেছেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন যে এই ধরনের হুমকিতে তাঁরা ভীত নন এবং নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আত্মত্যাগেও প্রস্তুত।
- আইনি পদক্ষেপ ও পুলিশের তদন্ত: ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন যে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে একটি বিক্ষোভে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনেরও নিন্দা করেন তিনি।
- পুলিশের কাছে হাজিরা: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে দুই শিক্ষক নেতা, ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল এবং সুদীপ কোনার, বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরা দেন। বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের দায়ের করা মামলার বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
- গুরুতর অভিযোগ ও আদালতের হস্তক্ষেপ: পুলিশ প্রায় ১৫টি ধারায় মামলা দায়ের করেছে, যার মধ্যে জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে। শিক্ষক নেতারা পুলিশের এই নোটিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন এবং পুলিশের অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। হাইকোর্ট তাঁদের সকাল ১০টায় তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং কোনও দমনমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
- জিজ্ঞাসাবাদ ও নতুন নোটিশ: আইনজীবীদের সঙ্গে থানায় পৌঁছানোর পর ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল এবং সুদীপ কোনারকে সরকারি আধিকারিকদের বাধা দেওয়া, হুমকি দেওয়া এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও, চাকরি হারানো আরও অনেককে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। এর আগে, মেহবুব মণ্ডল সহ চারজন শিক্ষককে একই থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘অপারেশন সিঁদুর’এর সাফল্য এবার পৌঁছোবে বিশ্বের দরবারে !