বিএনপি-কে রোখার চেষ্টা, বিভিন্ন দলের সঙ্গে দু’দফা বৈঠক

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, দীনেশ :- আওয়ামী লিগের পর এখন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার ও তার সমর্থকদের নিশানায় বিএনপি (BNP)। দলটিকে কোণঠাসা করার খেলা শুরু হয়েছে। দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বিএনপি। রবিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদল বৈঠকে একই অবস্থানে অনড় ছিলেন খালেদা জিয়ার দলের নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামি ও ছাত্র নেতাদের একাংশকে সামনে রেখে বিএনপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:- ব্যাংকে গিয়ে এই কথা বললে ফিক্সড ডিপোজিটে ৩ গুন সুদ পাবেন, জেনে নিন সেই গোপন কথা

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবের কথায় সেই বার্তা স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ সংক্রান্ত সমস্যা কেটেছে বটে, কিন্তু বিএনপির নতুন নতুন শর্তে সংকটের সম্ভাবনা রয়ে যাচ্ছে। বড় দল নির্দেশ দেবে আর প্রধান উপদেষ্টা সেই অনুযায়ী কাজ করবেন, সেজন্য তো তাঁকে ছাত্র-জনতা আনেনি।’

আরও পড়ুন:- টানা ৩ দিন নিম্নচাপের বৃষ্টি এই জেলাগুলিতে। দেখে নিন, আপনার জেলা আছে কিনা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এদিনই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট করার পক্ষে জোরদার সওয়াল করেন। তাঁর যুক্তি, ‘এই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক নয়। জনগণকে অন্ধকারে রেখে বা রাজনৈতিক দলগুলিকে অনিশ্চয়তায় রেখে কোনও পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি, হবেও না।’ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে আগেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার বার্তা দেওয়া হয়েছিল।

ধারাবাহিক চাপের মুখেও নির্বাচন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। বরং মুহাম্মদ ইউনূসের শিবির মরিয়া চেষ্টা করেও নির্বাচন নিয়ে সর্বদলীয় ঐকমত্য তৈরিতে ব্যর্থ। প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশের অধ্যায়কে সাফল্যের সঙ্গে ধামাচাপা দিলেও উপদেষ্টা পরিষদের আরও কিছুদিন ক্ষমতায় টিকে থাকার আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন এখন অনিশ্চিত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রবিবার ইউনূসের দু’দফার বৈঠকে ভিন্ন সুর প্রকাশ্যে এসেছে।

আরও পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ কিভাবে পাবেন? জানিয়ে দিলো সরকার

রবিবারের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামিও জাতীয় নির্বাচন দ্রুত করানোর পক্ষে সওয়াল করেছে। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করলে যাবতীয় সংকট দূর হয়ে যাবে বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন এই দলটির অন্যতম নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মহম্মদ তাহের। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়ার ওপরেই জোর দিয়েছেন বৈঠকে।

তাছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমকে অপসারণের দাবিতেও বৈঠকে অনড় ছিল বিএনপি। ওই দুই ছাত্র উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খালেদা জিয়ার দল। এই দাবি সম্পর্কে ও নির্বাচন নিয়ে কিন্তু একেবারে উলটো সুর অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থক জাতীয় নাগরিক পার্টির। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে বড় রাজনৈতিক দলটি সরে এসেছে।’

পরে সংবাদ সংস্থা বিবিসি-কে আরিফুল আরও কড়া ভাষায় বলেন, ‘বড় দল নির্দেশ দেবে আর প্রধান উপদেষ্টা সেই অনুযায়ী কাজ করবেন- এই অবস্থার জন্য তাঁকে ক্ষমতায় আনেনি ছাত্র-জনতা।’ যদিও প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ব্যাপারে সব পক্ষই একজোট হয়ে আপত্তি তুলেছে। পালটা চাপে রাখার চেষ্টা করছে বিএনপিও। দলের নেতা গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা যদি কালকে রাস্তায় নামি, তাহলে ইউনূস সাহেব ২৪ ঘণ্টাও থাকতে পারবেন না।’ অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকলাপের মেয়াদ নিয়ে এই জলঘোলার মধ্যে নিষিদ্ধ অবস্থাতেও তৎপরতা চলছে আওয়ামী লিগের। সমাজমাধ্যমে আমেরিকার কাছে বাংলাদেশকে বিক্রি করে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ এনেছেন হাসিনা। তাঁর বক্তব্য, ‘আমেরিকা যখন সেন্ট মার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল, তখন আমার বাবা রাজি হননি। এজন্য তাঁকে জীবন দিতে হয়েছিল। আমার ভাগ্যেও এটা ছিল। কারণ ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশকে বিক্রি করার কথা আমার কখনও মনে হয়নি।’

হাসিনার অভিযোগ, ‘ইউনূস সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্যে সরকার চালাচ্ছেন। বাংলাদেশে জঙ্গিদের রাজত্ব চলছে।’

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন