Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলে শূন্যের গেরোয় আটকে বামেরা । গত কয়েকটি নির্বাচনে তারা খাতা খুলতে পারেনি । তাঁর অন্যতম কারণ বুথস্তরে সংগঠন না-থাকা । পরের পর নির্বাচনে রাজ্যের সব জায়গায় প্রার্থী দিতে না-পারা । তবে, হাল ছাড়তে নারাজ তারা । বিশেষ করে সিপিএম ।
তাই, দাঁতে দাঁত চেপে বুথস্তরে সংগঠন গড়ে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা । বেঁধে দেওয়া হয়েছে দিনক্ষণ । সূত্রের দাবি, আগামী 30 জুনের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত বুথে বুথ সাংগঠনিক কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা কমিটিগুলিকে ।
সিপিএমের সমাবেশ (ফাইল ছবি)
সিপিএমের এক জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য়ের কথায়, “রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস এই দুই চরম প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে পরাস্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে । গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি ও ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে । আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে মতাদর্শগত সংগ্রাম আরও তীব্র করতে হবে । বিশেষ করে বুথ সংগঠনকে স্থায়ী সংগঠনের রূপ দিতে হবে ।”
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যজুড়ে প্রায় 62 হাজার বুথ রয়েছে । তবে, রাজনৈতিক দলগুলোর হিসেব আলাদা । যার অধিকাংশগুলিতে সংগঠন নেই বামেদের । বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ । সেই সব জায়গায় বিজেপি-তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে আগে সংগঠন গড়ে তোলা জরুরি । এক রাজ্যনেতার কথায়, “বিপুল পরিমাণ বুথ এরাজ্যে । প্রতিটি বুথে সংগঠন গড়ে তোলার ওপর নির্ভর করছে পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সাফল্য । এক্ষেত্রে সমস্ত দুর্বলতা অবিলম্বে অতিক্রম করতে হবে । পরিকল্পনা ও জেদ নিয়ে একাজ সম্ভব করে তুলতে হবে ।”
শুধু কমিটি গঠন নয় । সোশাল মিডিয়া ব্যবহারে দলীয় সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে । কী রকম পোস্ট, কমেন্ট করা যাবে, কোনগুলোতে করা যাবে না, সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে । ব্যক্তি প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের দাবি । একই সঙ্গে পার্টি বা সংগঠনের শক্তিবৃদ্ধিতে সোশাল মিডিয়ার কার্যধারাকে আরও সুসংহত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম
সিপিএমের এক জেলা কমিটির নেতার কথায়, “রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটিগুলির সোশাল মিডিয়ার কার্যধারার মধ্যে যথাযথ সমন্বয় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সোশাল মিডিয়ায় ব্যক্তি প্রচার বন্ধ করতে হবে । সোশাল মিডিয়ায় পার্টি সদস্যদের ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া বন্ধ করতে হবে । সোশাল মিডিয়ার মঞ্চকে কোনোভাবেই আন্তঃপার্টি সংগ্রামের মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা চলবে না । এই ব্যাপারে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট পার্টি কমিটিকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ।”