বাংলাদেশের নতুন ২০ টাকার নোটে ওই মন্দিরটির ছবি কেন? কি ইতিহাস জড়িয়ে মন্দিরের সঙ্গে ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশাসনিক সংস্কারের পাশাপাশি দেশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছে।
এরই ফলস্রুতি হিসেবে নতুন ব্যাংকনোটে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি সরিয়ে তার পরিবর্তে অন্য ছবি বসানো হচ্ছে। নতুন ২০ টাকার নোটে স্থান পেয়েছে একটি হিন্দু মন্দির। ১৮ শতকের কান্তজিউ মন্দিরটি ২০১৫ সালে হামলা সত্ত্বেও অক্ষত ছিল। কী ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই মন্দিরের সঙ্গে?

২০ টাকার নতুন মুদ্রা ১ জুন থেকে বাজারে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই নতুন নোটের সম্মুখভাগের বাঁ দিকে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক স্থাপত্য কান্তজিউ মন্দিরের ছবি রয়েছে। সব নতুন মুদ্রার মতো ২০ টাকার নতুন নোটেও বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা, পাতা এবং কুঁড়ির ছবি হালকা রঙের উপর ফুটে ওঠে। এছাড়াও এই ২০ টাকার নোটের পিছনের অংশে রয়েছে রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ছবি। এই বিহারটি ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি পায় এবং এটি বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অন্যতম। তবে বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছে হিন্দু মন্দিরটি।

২০ টাকার নতুন বাংলাদেশি মুদ্রায় যে কান্তজিউ মন্দিরের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং দর্শনীয় টেরাকোটার স্থাপত্য নিদর্শন। এই মন্দিরটি কান্তজিউ, কান্তাজী বা কান্তনগর মন্দির নামেও পরিচিত।

কান্তাজী নামের উৎস ও ইতিহাস
“কান্তাজী” নামটি এসেছে “কান্তা” বা শ্রীকৃষ্ণের এক রূপ থেকে। ১৮ শতকে নির্মিত এই মন্দিরটি উৎসর্গ করা হয়েছে শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর পত্নী রুক্মিণীকে।

মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয় ১৭০৪ সালে দিনাজপুরের মহারাজা প্রণনাথের হাত ধরে এবং এটি সম্পূর্ণ হয় তাঁর পুত্র মহারাজা রামনাথের সময়, ১৭৫২ সালে।

ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
অখণ্ড বাংলার বৈষ্ণব প্রভাবসম্পন্ন অঞ্চলে এই মন্দিরটি একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি শুধু ধর্মীয় নয়, ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্যের দিক থেকেও এক অনন্য নিদর্শন।

২০১৫ সালের হামলা
২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে রাসমেলা চলাকালীন, নতুন JMB নামে পরিচিত এক সন্ত্রাসী সংগঠন কান্তজিউ মন্দিরে তিনটি বোমা নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় অনেক ভক্ত আহত হন।

হামলার পরপরই তিনজন সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সংগঠনটি কখনওই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ওই সময় মন্দিরের পুরোহিতকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান না করার জন্য হুমকি দেয়া হয়েছিল।

মন্দিরভূমিতে মসজিদ নির্মাণ ও বিতর্ক
২০২৪ সালের মার্চ মাসে ঢাকা ট্রিবিউন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কান্তজিউ মন্দিরের জমিতে একটি মসজিদ নির্মাণ শুরু হওয়ার খবরে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন:- আচমকাই অর্থ দফতরে সারপ্রাইজ ভিজিট মুখ্যমন্ত্রী মমতার , কেন ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন