Bangla News Dunia, Pallab : অডিও কাণ্ডে দু’বার তলব অগ্রাহ্যের পর অবশেষে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বৃহস্পতিবার বোলপুরে (Bolpur) এসডিপিও (SDPO) অফিসে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। আইসিকে কদর্য আক্রমণের পর অবশেষে হাজিরা দিলেন অনুব্রত।
আরও পড়ুন : UPI-তে টাকা লেনদেনের নিয়মে বড় বদল। নিয়ম না মানলে জরিমানা
প্রসঙ্গত, বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অকথ্য গালিগালাজের অভিযোগ ওঠে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। শুধু আইসি নন, বীরভূম জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতির ‘সুন্দর বাণী’ থেকে বাদ পড়েননি লিটন হালদারের স্ত্রী ও মা-ও। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ)। ঘটনাকে ঘিরে ওঠে সমালোচনার ঝড়। এনিয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। তাঁকে নোটিশ পাঠিয়ে শনিবার বেলা ১২টার মধ্যে এসডিপিওর অফিসে তলব করা হয়। কিন্তু সেদিন হাজিরা দেননি অনুব্রত। পাঠান তাঁর ৫ আইনজীবীকে। যদিও আইনজীবীদের দাবি, তাঁরা এসেছিলেন অন্য বিষয়ে কথা বলতে। এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ।
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অডিও ভাইরাল হতেই কেষ্টর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয় তৃণমূল। ৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়। ক্ষমা না চাইলে শোকজও করা হতে পারে। দলের তরফে নির্দেশ পাওয়া মাত্রই সময় নষ্ট করেননি তিনি। সঙ্গে সঙ্গে চিঠি লিখে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেন কেষ্ট। এদিকে শনিবার হাজিরা না দেওয়ার কারণ হিসেবে তাঁর আইনজীবীরা শারীরিক অসুস্থতা এবং আরও কয়েকটি কারণ তুলে ধরে জানান, অনুব্রতর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। নির্ধারিত সময়ে অনুব্রত হাজির না হতেই ফের তাঁকে নোটিশ পাঠায় পুলিশ (Police)। দ্বিতীয় নোটিশে সাফ বলা হয়েছে, পরদিন অর্থাৎ রবিবার বেলা ১১টার মধ্যে সশরীরে বোলপুর এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিতে হবে অনুব্রতকে। তবে রবিবারও তিনি হাজিরা দেননি। তাঁর পরিবর্তে এসডিপিও অফিসে আসেন কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত দেবব্রত ওরফে গগন সরকার এবং অনুব্রতর আইনজীবী বিপদতারণ ভট্টাচার্য। তবে দু’বার হাজিরা এড়ালেও অবশেষে এদিন এসডিপিও অফিসে হাজির হন কেষ্ট।
আরও পড়ুন : এই ভুল করলেই বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা, চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম
