Bangla News Dunia, Pallab : নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল পুলিশ। ওই পড়ুয়াকে যৌন হেনস্তা করে সেই সময়কার ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এক যুবককে চিহ্নিত করে পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত যুবক।
আরও পড়ুন : জানা গেল কবে প্রকাশ হবে ক্লার্ক ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, অভিজ্ঞতার জন্য বিশেষ নম্বর
সম্প্রতি গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়া। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় এক যুবক এই ছাত্রকে রাস্তা থেকে বলপূর্বক তুলে নিয়ে গাড়ির ভিতরে যৌন হেনস্তা করে এক যুবক। সেই যুবক সেই সময়কার অশ্লীল ভিডিও মোবাইলে তুলে রাখে। পরবর্তীতে ছাত্রকে ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করে অভিযুক্ত যুবক। এমনকী বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এই মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ২৯ মে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে কিশোর।
কী কারণে ছাত্রটি আত্মহত্যা করল, সেই বিষয়টি জানতে পরিবারের লোকেরা ছাত্রের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিছুটা আভাস পায়। এরপরেই মৃতের মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখেন। তখনই বিষয়টি জানতে পারেন পরিবারের লোকেরা।
মৃতের মা জানিয়েছেন, গত জানুয়ারি মাসে আসানসোলের রেলপারের কসাইমহল্লার বাসিন্দা জনৈক ইমরান শেখ নামে এক যুবক তাঁর ছেলেকে জোর করে রাস্তা থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর গাড়িতে তাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ছবি মোবাইলে তুলে রেখেছিল ইমরান। তারপর থেকে সেই ছবি দেখিয়ে ইমরান বারবার ব্ল্যাকমেল করে টাকা নেওয়া শুরু করে ছাত্রের কাছ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যাট ও ফোন কল রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় এইসব কিছুর প্রমাণ। এও জানা যায়, একটা সময় ছাত্রটি ইমরানকে বলেছিল, তার কাছে আর টাকা নেই। এরপরে চাপ আরও বাড়তে থাকে তার উপর। ভয়ে সে কাউকে কিছু বলতেও পারছিল না।
মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, ব্ল্যাকমেলের কারণেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ছাত্র। পরিবারের তরফে অভিযুক্ত যুবকের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করা হয়েছে। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ মৃত স্কুল পড়ুয়ার করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু করেছে তদন্ত। মৃত ছাত্রের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।