নিজেরই দলীয় কর্মীদের বেনজির আক্রমণ মদনের, হটাৎ কি হল ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- দলের কর্মিসভায় উপস্থিতি কম ! তা দেখে চটে গিয়ে সভামঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের বেনজির আক্রমণ করে বসলেন কামারহাটির ‘গ্ল্যামার’ বিধায়ক মদন মিত্র ।

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “কী ভাবছেন আপনারা নিজেদের ? হরিদাস পাল ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি 24 ঘণ্টার জন্য ঘোষণা করে দেন, কামারহাটির তৃণমূল দলটা বন্ধ করে দিলাম, তাহলে বাড়িতে থাকতে পারবেন না আপনারা । তৃণমূল নেতাদের পায়ের তলায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হবে । বাঁচানোর মতো কোনও বাবা পাশে এসে দাঁড়াবে না । এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে, আমরা ঘরের কথা জানি না । ঘরের সব কথা জানি ।”

কিন্তু, হঠাৎই দলীয় কর্মীদের প্রতি এতটা কেন রেগে গেলেন বিধায়ক মদন মিত্র ? জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কামারহাটির নজরুল মঞ্চে বিধানসভা ভিত্তিক এক রাজনৈতিক কর্মিসভা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের । সেই কর্মিসভায় হাজির ছিলেন বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক, বিধায়ক নির্মল ঘোষ, বরানগরের তারকা বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র-সহ দলের অন‍্যান‍্য নেতৃত্ব । সভায় প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী সংখ্যা কম ছিল । আর তাতেই চটে লাল হয়ে যান তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র । বক্তব্য রাখতে গিয়ে তা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি ।

আরও পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ DA তে কার কত বকেয়া ? জানাতে পোর্টাল খুললো অর্থ দপ্তর

মদনের কথায়, “ছেঁড়া জামা আমি পরতেই পারি । জামার ভিতরের গেঞ্জি ছেঁড়া থাকতেই পারে । কিন্তু, যখন অতিথি আসবে তখন আমরা জামার বোতামটা লাগিয়ে নেব । আমি লক্ষ্য করছিলাম, নান্টু (নির্মল ঘোষ)-দা যখন বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন, তখন অনেকেই সভার মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল । আমি কামারহাটির নেতৃত্বকে বলব, একটা মিটিং ডাকতে । যেখানে প্রতিযোগিতা হবে সভায় কে থাকবে, আর কে থাকবে না ।”

এর পরেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “কান খুলে শুনে নিন । আমি সব লক্ষ্য রেখেছি, কারা সভাগৃহের উপর থেকে নীচে নেমেছে । বেলঘরিয়া এবং কামারহাটির কতজন সভা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে । আড়িয়াদহের কোন এলাকা থেকে সভায় কম লোক এসেছে । সব জানি । আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, সভায় যাঁরা উপস্থিত রয়েছেন তাঁদের মধ্যে 40 শতাংশ তৃণমূলের দেওয়া চাকরি পেয়েছেন । অনেকেই ভাবতে পারেন, আমি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছি । এজন্য আমার নামে কমপ্লেনও হতে পারে । তা সত্ত্বেও আমি বলব, অবিলম্বে এমএলএ অফিস থেকে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে তিনদিন অন্তর রিপোর্ট নিন । ক’জন করে কর্মী মিটিংয়ে আসছেন সব স্পষ্ট হয়ে যাবে ।মেয়েদের থেকে ছেলেরা সব ক্ষেত্রেই সুযোগ সুবিধা বেশি পেয়েছে । এটা আমি জোর গলায় বলতে পারি ।”

প্রসঙ্গত, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বরাবর নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন মদন মিত্র । তা করতে গিয়ে কখনও দলীয় কাউন্সিলর, আবার কখনও নিজের দলের সাংসদের ভূমিকা নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে । এদিনও যার ব‍্যতিক্রম ঘটল না । কর্মীদের পাশাপাশি এদিন মদনের রোষের মুখে পড়েছেন দলের কাউন্সিলরও । যা বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে শাসকদলের ।

আরও পড়ুন:- Pan Card থাকলে 10,000 টাকা জরিমানা! আয়কর বিভাগের নির্দেশ। ব্যাপারটা কি ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন