চা বাগানের কোলে বসে চায়ে চুমুক দিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করতে দার্জিলিংয়ের সেরা জায়গা এগুলো।

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ধরুন একদিন ঘুম ভাঙল চা বাগানের মাঝে। সবুজের মাঝে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে চুমুক দিচ্ছেন চায়ে। আর দূরে হাতছানি দিচ্ছে পাহাড়। এমন দৃশ্য শুধু স্বপ্নে নয়, বাস্তবেও ঘটতে পারে। আজকাল টি ট্যুরিজ়মের চাহিদা বাড়ছে। গাছ থেকে কী ভাবে চা পাতা তোলা হয় এবং তার প্রক্রিয়াকরণ, সবই দেখতে চান পর্যটকেরা। শুধু তা-ই নয়, চা বাগানকে ঘিরে যে সব মানুষের জীবন, তাঁদের যাপনকে আরও কাছ থেকে দেখতে চান অনেকে। এই কারণেই বাড়ছে চা ট্যুরিজ়মের চাহিদা। এই সুযোগে উত্তরবঙ্গের কোন কোন টি এস্টেটে ঢুঁ মারবেন, রইল তালিকা।

গ্লেনবার্ন টি এস্টেট, দার্জিলিং

পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে গিয়েছে সবুজ চা বাগান। আর দূরে উঁকি দিচ্ছে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। এমন দৃশ্য উপভোগ করতে পৌঁছে যান দার্জিলিংয়ের গ্লেনবার্ন টি এস্টেটে। ১৮৫৯ সালে স্কটিশ চা-কোম্পানির হাত ধরে গড়ে ওঠা গ্লেনবার্ন টি এস্টেট এখন টি ট্যুরিজ়মের অংশ। চা বাগান ও চা তৈরির কারখানা ঘুরে দেখার পাশাপাশি বাগানের ভিতরে রাত কাটানোরও সুযোগ রয়েছে এখানে। গ্লেনবার্ন টি এস্টেটে প্রতি রাতের ঘর ভাড়া প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু। গ্লেনবার্ন টি এস্টেটের আশেপাশে কম খরচের হোটেলও পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া দার্জিলিং শহর থেকেও অনায়াসে ঘুরে নিতে পারেন গ্লেনবার্ন টি এস্টেট।

আরও পড়ুন:- পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ DA তে কার কত বকেয়া ? জানাতে পোর্টাল খুললো অর্থ দপ্তর

মকাইবাড়ি চা বাগান, কার্শিয়াং

কার্শিয়াংয়ের পা রাখা মাত্র নজর কাড়ে বিস্তীর্ণ চা বাগান। যে দিকে তাকাবেন সে দিকে চায়ের বাগান। তারই মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মকাইবাড়ি চা বাগান। ১৮৫০ সালের আশেপাশে ব্রিটিশ সরকার পশ্চিমবঙ্গে চা বাগান তৈরির কাজ শুরু করেন, এবং প্রথম চা বাগান তৈরি হয় দার্জিলিংয়ের মকাইবাড়িতে। এখানেও আপনি চা বাগান ও চা তৈরির কারখানা ঘুরে দেখতে পারবেন। চা বাগানের মধ্যে বাংলো ও হোমস্টে রয়েছে। কিন্তু সেগুলো খরচ সাপেক্ষ। যদিও কার্শিয়াংয়ের চা বাগানকে ঘিরে অনেক ছোট-বড় হোটেল ও হোমস্টে রয়েছে। সেখানে রাত কাটাতে পারেন।

মিম চা বাগান, দার্জিলিং

দার্জিলিংয়ে ছোট-বড় অনেক টি এস্টেট রয়েছে, যেগুলো টি ট্যুরিজ়মের অংশ। প্রায় প্রতিটা চা বাগানই ঘুরে দেখতে পারেন পর্যটকেরা। তবে চা বাগানের সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা, খরস্রোতা পাহাড়ি নদী ও জঙ্গল যদি চান, ঘুরে আসতে পারেন মিম চা বাগান থেকে। প্রায় ১৫০ বছর পুরোনো মিম চা বাগানে রয়েছে ব্রিটিশদের তৈরি বাংলো। এখানে পর্যটকেরা রাত কাটাতে পারেন। প্রতি রাতের মাথাপিছু খরচ পড়বে প্রায় ৫ হাজার টাকা। লেপচাজগৎ ও সুকিয়াপোখরির মাঝে অবস্থিত মিম চা বাগানের আশেপাশে একাধিক হোমস্টে-ও রয়েছে। এ ছাড়া কাছেই রয়েছে বিজনবাড়ি। সেখান থেকেও ঘুরে নিতে পারেন এই চা বাগান। এ ছাড়া চা বাগানের খুব কাছেই রয়েছে একটি বৌদ্ধ মঠ। চা বাগানে ছুটি কাটাতে চাইলে এই জায়গাকেও বেছে নিতে পারেন।

আরও পড়ুন:- Pan Card থাকলে 10,000 টাকা জরিমানা! আয়কর বিভাগের নির্দেশ। ব্যাপারটা কি ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন