Bangla News Dunia, দীনেশ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে ধনকুবের ইলন মাস্কের (Elon Musk) বন্ধুত্বের সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে, তা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন অব্যাহত। তবে এবার ট্রাম্প সাফ জানিয়েই দিলেন যে, মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শেষ। সেই সঙ্গে তাঁর বিল আটকাতে মাস্ক যদি ডেমোক্র্যাটদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন, তাহলে পরিণতি যে গুরুতর হবে সেই বিষয়েই স্পেসএক্স কর্তাকে সতর্ক করে দিয়েছেন ট্রাম্প।
শনিবার এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনে সাক্ষাৎকার দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট টাম্প। সেখানেই প্রশ্ন করা হয় তাঁর সঙ্গে মাস্কের সম্পর্ক শেষ কি না। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ। আমার তাই মনে হয়।’ এমনকি ভবিষ্যতে তিনি মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করতে চান কি না এই প্রশ্ন করা হলেও ট্রাম্প সাফ বলেন, ‘না। আমার ওঁর সঙ্গে কথা বলার কোনও ইচ্ছে নেই।’
আরও পড়ুন : এসি টানা চালালেই ক্ষতি! কতক্ষণ চালানো সঠিক ?
ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের বিতর্কের সূত্রপাত একটি বিলকে ঘিরে। বিলটির বিরোধিতা করেছিলেন মাস্ক। কিন্তু ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের স্বাক্ষরের পর ওই বিতর্কিত বিলটি মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাশও হয়ে গিয়েছে। এবার সেনেটে পাশ হলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। তবে অনেকে মনে করছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্ব ভাঙার পর এবার বিলটিকে আটকাতে মাস্ক ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন করে তাদের আর্থিক সাহায্য করতে পারেন। আর তা নিয়েই মাস্ককে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘যদি মাস্ক এই কাজ করেন, তবে তাঁকে এর গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’ তবে সেই পরিণতি কী হতে পারে, তা নির্দিষ্ট করে জানাননি ট্রাম্প। এর আগে মাস্কের সংস্থার সঙ্গে আমেরিকার সরকারি চুক্তি বাতিলের প্রসঙ্গও তুলেছিলেন ট্রাম্প। তবে এখন এসব বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে চান না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : সদ্য খুলল স্কুল, আবার পড়বে গরমের ছুটি ? ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষা দপ্তরের নতুন নোটিশ
উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েই প্রশাসনে মাস্ককে তাঁর বিশেষ পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি মাস্কের নেতৃত্বে আলাদা একটি দপ্তর তৈরি করা হয়েছিল। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ বা ডজ (DOGE)। মূলত মার্কিন প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক অপচয় বন্ধ করে সাশ্রয় করাই ছিল এই দপ্তরের কাজ। কিন্তু সম্প্রতি ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা বিলের বিরোধিতা করার পরই দুজনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এমনকি ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে ইস্তফাও দেন মাস্ক। এমনকি একটি নয়া রাজনৈতিক দল গঠনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। এই আবহেই এবার ট্রাম্প কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন, মাস্কের সঙ্গে বন্ধুত্বে ইতি টেনেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : জানা গেল কবে প্রকাশ হবে ক্লার্ক ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, অভিজ্ঞতার জন্য বিশেষ নম্বর