Bangla News Dunia, Pallab : অভিবাসন নীতির বিরোধিতায় উত্তপ্ত লস অ্যাঞ্জেলেস (Los Angeles)। শুক্রবার থেকেই এই নীতির (Immigration policy) প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন প্রচুর মানুষ। একইভাবে শনিবারও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল গোটা শহর। ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দু’হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের (National Guard troops) নির্দেশ দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।
আরও পড়ুন : এসি টানা চালালেই ক্ষতি! কতক্ষণ চালানো সঠিক ?
এই ঘটনার পর ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘যদি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজকাম এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস তাঁদের কাজ করতে না পারেন, যা সবাই জানে যে তাঁরা করতে পারবেন না, তাহলে ফেডারেল সরকার হস্তক্ষেপ করবে এবং সমস্যাটি সমাধান করবে। দাঙ্গাকারী এবং লুটেরাদের ক্ষেত্রে যেভাবে এটি সমাধান করা উচিত।’ যদিও ট্রাম্পের পদক্ষেপে বিরোধিতা করে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন এই বিপুল সেনা মোতায়েনকে ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে উসকানি’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিগত কয়েকদিনে লস অ্যাঞ্জেলেসের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অধিবাসীদের খোঁজে অভিযান চালিয়েছে মার্কিন অভিবাসন এবং শুল্ক দপ্তরের (ICE) আধিকারিকেরা । শুক্রবার অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লস অ্যাঞ্জেলেস। সূত্রের খবর, প্রায় ১ হাজার প্রতিবাদী বিক্ষোভ দেখায়। এরপর শনিবারও রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় লস অ্যাঞ্জেলেসের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত প্যারামাউন্ট শহর। সেখানে ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে বিক্ষোভকারীদের।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সংক্রান্ত একাধিক পদক্ষেপে বিতর্কও হয়েছে। যেহেতু লস অ্যাঞ্জেলেসেই বেশি সংখ্যক অভিবাসীরা থাকেন, সেজন্য ধরপাকড় শুরু হতেই সেখানে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন : সদ্য খুলল স্কুল, আবার পড়বে গরমের ছুটি ? ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষা দপ্তরের নতুন নোটিশ
আরও পড়ুন : জানা গেল কবে প্রকাশ হবে ক্লার্ক ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, অভিজ্ঞতার জন্য বিশেষ নম্বর
