Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ফুচকা বললেই জিভে জল। টক-ঝাল আলুর পুর আর তেঁতুল জল। জিভে দিলেই স্বর্গ। এ জিনিস ছাড়া যায়! ইদের পর দিন জমিয়ে ফুচকা খেয়েছিলেন আরামবাগের কেশবপুরের শিশু ও মহিলারা। তারপর থেকেই পেট খারাপ। অসহ্য যন্ত্রণা আর পাতলা পায়খানা। সোমবার তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় পৌঁছেছে মেডিক্যাল টিম।
ইদ কাটলেও তার রেশ কাটেনি এখনও। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। খাওয়াদাওয়া চলছে। রবিবার বিকেলে ফুচকাওয়ালা এসেছিলেন গ্রামে। ভিড় জমায় আট থেকে আশি। মনের আশ মিটিয়ে চলে ফুচকা-ভোজন। কিন্তু কয়েকঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুরু হয় পেটের যন্ত্রণা। সঙ্গে বমি আর পাতলা পায়খানা। সূত্রের খবর, প্রায় ২০ থেকে ২২ জন অসুস্থ পয়ে পড়েন।
সোমবার সকালে অবস্থা আরও খারাপ হয়। একে একে ভিড় করেন স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এদের মধ্যে ৬ জনকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন নন্দী বলেন, ‘সবাই খুশি মনে ফুচকা খেয়েছিলাম। কিন্তু এমন হবে কেউ ভাবতে পারেনি। ফুচকা খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে থেকেই পেট ব্যথা শুরু হয়। সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শিশু আর মহিলারাই।’
মলয়পুর ব্লক থেকে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে গ্রামে। হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলিক বলেন, ‘১৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে শুনেছি। ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।’
আরও পড়ুন:- অবিবাহিত যুগলদের হোটেল রুম বুকিং কখন বাতিল হতে পারে? নিয়ম না জানলে বিপদে পড়বেন