Bangla News Dunia, দীনেশ :- মৃত্যুর পর কোনও কোনও ‘জীবন’ সত্যিই থাকে কি না, তা নিয়ে পাথুরে প্রমাণ কিছু নেই। তবু এই নিয়ে কৌতূহলের কমতিও নেই মানুষের মধ্যে। মৃত্যুর সময় মানুষের অভিজ্ঞতা কেমন হয়, তা নিয়েও নানা গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা (Scientists)। এবার মৃত্যুর পরে ঠিক কী অনুভূতি হয়, তা জানিয়েছেন ব্রিয়ানা ল্যাফার্টি (Brianna Lafferty) (৩৩) নামের এক মার্কিন মহিলা (American women)। তাঁর দাবি, ৮ মিনিট তিনি মৃত অবস্থায় ছিলেন। ওই সময়ের অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা তিনি ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে।
আরও পড়ুন:- কেন্দ্রীয় সরকারে প্রায় ১৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ, এখনই আবেদন করুন
ব্রিয়ানাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ বলে ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকরা (Doctors)। তাঁর না ছিল নাড়ির স্পন্দন, না শ্বাসপ্রশ্বাস। এমনকি মস্তিষ্কের কোনও কার্যকলাপও ছিল না। টানা ৮ মিনিট ওই অবস্থায় থাকার পর তিনি জীবনে ফিরে আসেন।
ব্রিয়ানা জানিয়েছেন, মৃত্যুর ওই মুহূর্তগুলি ছিল এক গভীর অভিজ্ঞতা। তাঁর কথায়, ‘মৃত্যু একটা ভ্রান্তি। কারণ, আত্মা কখনও মারা যায় না। আমাদের চেতনা বেঁচে থাকে। আমাদের অস্তিত্ব শুধু রূপ বদলায়।’ ঠিক কী ধরনের অনুভূতি তাঁর হয়েছিল ওই আট মিনিটে? এই প্রশ্নের জবাবে তরুণী বলেন, মৃত্যুর পর কোনও যন্ত্রণা ছিল না, বরং ছিল এক গভীর শান্তি ও পরিষ্কার উপলব্ধি। তাঁর ভাষায়, ‘আমি তখন আর নিজের মানবদেহ হিসাবে ছিলাম না। আমি স্থির ছিলাম, কিন্তু সম্পূর্ণ সচেতন ও জীবন্ত অনুভব করছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি যেন নিজের চেয়েও বেশি নিজস্ব হয়ে উঠেছি।’
আরও পড়ুন:- গাছপাকা নাকি কার্বাইড- ফরমালিন মেশানো? খাঁটি আম চেনার এই টিপস জানা থাকলে আর ঠকবেন না
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ব্রিয়ানার এই ‘নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স’-এর কারণ ‘মায়োক্লোনাস ডিস্টোনিয়া’ নামের একটি দুর্লভ স্নায়বিক রোগ। এই রোগে শরীরের ঘাড়, ধড় ও ওপরের অঙ্গগুলিতে অনিচ্ছাকৃতভাবে ঝাঁকুনি বা টান ধরা পড়ে। রোগটি জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করে দিতে পারে।
বিজ্ঞানীদের মতে, এমন ‘মৃত্যুর কাছাকাছি অভিজ্ঞতা’ বা নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স (এনডিই) আসলে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়ার ফল। যখন হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়, তখনও কিছু সময় মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। সেইসময়ই সচেতনতার বিশেষ রূপ ও স্পষ্ট অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:- আম আর দুধ একসঙ্গে খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর? রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কারণ
জীবনে ফিরে আসার পর আবার হাঁটা ও কথা বলা শিখতে হয়েছে ব্রিয়ানাকে। তবে এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা তাঁকে মৃত্যুভয় থেকে মুক্ত করেছে, এমনটাই দাবি তাঁর।