Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সোমবার আবারও ভারতের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছেন। বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছেন, “যদি ভারত সিন্ধু জল চুক্তির (IWT) অধীনে ইসলামাবাদকে তার ন্যায্য জলের অংশ দিতে অস্বীকার করে, তাহলে পাকিস্তান যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাবে।”
22 এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরপরই ভারত 1960 সালের চুক্তি স্থগিত করে। এই হামলায় 26 জন সাধারণ মানুষ নিহত হন। গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন যে, এই ঐতিহাসিক চুক্তি আর কখনওই কার্যকর করা হবে না। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক শাহের এই মন্তব্যকে আন্তর্জাতিক চুক্তির “প্রকাশ্য লঙ্ঘন” হিসাবে সমালোচনা করে। পাক বিদেশ মন্ত্রকের সমালোচনার দুই দিন পরই বিলাওয়ালের এই মন্তব্য সামনে এসেছে।
অমিত শাহের যে মন্তব্যে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান:
আসলে, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর, ভারত 1960 সালের সিন্ধু জল চুক্তি (IWT) স্থগিত করে। ভারতের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং সেখানে প্রবল জলকষ্টের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন যে এই ঐতিহাসিক চুক্তিটি আর কখনওই পুনরুদ্ধার করা হবে না। অমিত শাহের এই মন্তব্যেই পাকিস্তান ক্ষুব্ধ হয়। আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মনোভাবের সমালোচনা করার দুই দিন পর প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়ালও ভারতকে যুদ্ধের হুমকি দিল।
বিলাওয়াল আর কী বলেছেন?
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে বিলাওয়াল ভুট্টো চুক্তি স্থগিত করার ভারতের সিদ্ধান্ত তীব্র সমালোচনা করেন এবং পাকিস্তানের ভাগের জল আদায় করে নেওয়ার হুমকি দেন। সিন্ধু অববাহিকার ছয়টি নদীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভারতের কাছে দুটি বিকল্প আছে: হয় তারা সমানভাবে জল ভাগ করে নেবে, অথবা আমরা ছয়টি নদীর সবকটি থেকে জল নিয়ে ছাড়ব।”
বিলাওয়াল বলেন, “সিন্ধু জল চুক্তি এখনও বলবৎ আছে কারণ চুক্তিটি স্থগিত রাখা যাবে না। তিনি বলেন, ‘সিন্ধুর উপর আক্রমণ হয়েছে। ভারত দাবি করছে যে সিন্ধু জল চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে এবং তা স্থগিত রয়েছে। প্রথমত, এটি অবৈধ। কারণ, সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত নেই, এটি পাকিস্তান এবং ভারতের জন্য বাধ্যতামূলক। রাষ্ট্রসংঘের সনদের নিয়ম অনুযায়ী এই জল বন্ধ করার হুমকি অবৈধ।”
পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী এ ক্ষেত্রে আলোচনা এবং সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রচেষ্টার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যদি ভারত ও পাকিস্তান আলোচনায় আপত্তি জানায় এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশের কোনও সমন্বয় না থাকে, তাহলে দুই দেশের মধ্যে হিংসার ঘটনা আরও বৃদ্ধি পাবে।”
আরও পড়ুন:- বয়স বাড়লেও একদম সুস্থ এবং ফিট থাকবেন, শুধু মেনে চলুন এই ৫ টিপস