Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- একজন মুসলিম মহিলা একতরফাভাবে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারেন। সেজন্য তাঁকে স্বামীর কাছে অনুমতি নিতে হবে না। কোনও জবাবদিহিও করতে হবে না। বুধবার একটি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ তেলাঙ্গানা হাইকোর্টের।
তেলাঙ্গানা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি মধুসূদন রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, একজন মহিলা একতরফাভাবে ‘খুলা’-র মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারেন। বিচ্ছেদের জন্য স্বামীর অনুমোদনের কোনও প্রয়োজন নেই। বিচারপতিদের আরও পর্যবেক্ষণ, ধর্মীয় সংস্থাগুলো একজন পুরুষ বা মহিলাকে পরামর্শ দিতে পারে। তবে তাদের স্বাধীন অধিকারকে কখনও খর্ব করতে পারে না।
বেঞ্চ বলে, ‘আইন আদালতের কাজ হল ডিভোর্সটা সুচারুভাবে সম্পন্ন করা। তাতে সিলমোহর দেওয়া। এতে উভয়পক্ষেরই সুবিধা হয়।’
আরও পড়ুন:- ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গ একজনকেই ৮৬০ কোটি টাকা বেতন দেবেন, কী করতে হবে তাকে ?
ঘটনার সূত্রপাত ২০২৪ সালে। পরিবার আদালতে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। ২০২০ সালে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ‘খুলা’ দিয়েছিলেন। তবে তা মানতে চাননি সেই ব্যক্তি। সেই মামলা হাইকোর্টে ওঠে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, গোটা বিষয়টা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা পরিবার আদালতের কাজ। একজন বিচারপতি বলেন, ‘স্ত্রীর ‘খুলা’র অধিকার স্বামীর তালাকের অধিকারের সমান্তরাল। স্বামী মেহর (মোহরানা) ফেরত দেওয়ার জন্য আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু বিবাহ চালিয়ে যেতে বাধ্য করতে পারেন না।’
হাইকোর্ট রায়ে জানায়, মুসলিম মহিলাদের একতরফাভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার দেয় তাদের ধর্মই। সঙ্গে এও জানানো হয়, ধর্মীয় গ্রন্থে স্বামী ‘খুলা’ গ্রহণ করতে না চাইলে তার বিকল্প কোনও পথের সন্ধান দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, ‘খুলা’ তালাক হল মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদের একটি প্রক্রিয়া। যেখানে স্ত্রী, স্বামীর কাছ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন। তার বিনিময়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেন।
খুলা তালাক এবং সাধারণ তালাকের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল, সাধারণ তালাক স্বামীর ইচ্ছায় হয়ে থাকে, কিন্তু খুলা তালাক স্ত্রীর ইচ্ছায় হয়ে থাকে। এই তালাক দেওয়ার জন্য স্ত্রী-কে আলাদাভাবে অনুমতি নিতে হয় না।
আরও পড়ুন:- চিনে পাওয়া গেল ভয়াবহ ‘Deadly Brain Virus’; আবারও কি অতিমারি ?