Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘আমাকে একদম ছোঁয়ার চেষ্টা করবে না। করলে একেবারে ৩৫ টুকরো করে দেব তোমার। আমি শুধু আমনের।’ ফুলশয্যার রাতের সোহাগ বদলে গেল হরর স্টোরিতে। ফুলশয্যার ঘরে ঢুকে বর দেখলেন নববধূ এক বিরাট দাঁ নিয়ে বিছানায় বসে। কাছে এগোতেই ভেসে এল হাড়হিম করা সাবধানবাণী। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের এডিএ কলোনি এলাকা থেকে এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনার খবর সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, গত ২০ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের করাছনা দিহা গ্রামের লক্ষ্মী নারায়ণ নিষাদের মেয়ে সিতারার সঙ্গে বিয়ে হয় প্রয়াগরাজের এডিএ কলোনি এলাকার বাসিন্দা ক্যাপ্টেন রাম আসারে নিষাদের। ৩০ এপ্রিল কনেকে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন ক্যাপ্টেন। ২ মে হয় রিসেপশনের অনুষ্ঠান। নাচ-গান, খানা-পিনায় গোটা সন্ধে কেটে যাওয়ার পর এল দম্পতির জীবনের বহু প্রতীক্ষিত রাত। কিন্তু সেই রাতেই রীতিমতো শক খাওয়ার অবস্থা হলো নতুন বরের।
সেই কথা মনে করে এখনও আতঙ্কে কেঁপে ওঠেন ক্যাপ্টেন। তিনি বলেন, ‘সেদিন ঘরে ঢুকে দেখি আমার বৌ সেজে গুজে মাথায় ঘোমটা টেনে ফুল দিয়ে সাজানো খাটে বসে আছে। এদিকে হাতে লম্বা ছুরি। এগোতেই আমাকে টুকরো টুকরো করে কেটে দেওয়ার হুমকি দেয়। বিশ্বাস করুন এমন ভয় জীবনে পাইনি।’
আরও পড়ুন:- বাচ্চার গলায় খাবার আটকে গেলে কী করবেন? জরুরি টিপস
সদ্যবিবাহিত ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, এর পর আতঙ্কে তিনি সারা রাত সোফায় বসেই কাটিয়েছিলেন। ভয়ে দু-চোখের পাতা এক করতে পারেননি তিনি। ভয় পেয়েছিলেন, যদি চোখ বন্ধ করলেই বৌ বুকে ছুরি বসায়!
জানা গিয়েছে, সারা দিন নতুন বৌ স্বাভাবিক থাকলেও রাতে ঘরে ঢুকলেই বদলে যেত রূপ। ছুরি নিয়ে বসে সারা রাত হুমকি দিতেন বরকে। পর পর তিন রাত না ঘুমিয়ে আতঙ্কে কাটানোর পর পরিবারকে সব কথা খুলে বলেন ক্যাপ্টেন নিষাদ। পরিবারের লোক নববধূ সিতারাকে চেপে ধরতেই কোনও দ্বিধা ছাড়াই তিনি বলেন, ‘আমি আমানকে ভালোবাসি। আমি কেবল বাধ্য হয়েই বিয়ে করেছি। আমি ওঁর সঙ্গেই থাকতে চাই। ওঁরই কেবল আমার সঙ্গে ‘সোহাগ রাত’ কাটানোর অধিকার আছে। আমার দেহ-মনে ওঁরই অধিকার। ওঁর কাছে আমাকে পাঠিয়ে দাও।’
পরিবারের লোক সিতারাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে কোনও কথা শুনতেই রাজি ছিলেন না। অন্যদিকে, প্রাণের ভয়ে কাঁটা হয়েছিলেন রাম আসারে। সিতারার বাপের বাড়ির লোক মধ্যস্থতা করলেও সমস্যার সমাধান হয় না। জোর করে সিতারাকে বিয়ে মেনে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকার মুচলেকা লেখানো হয়। কিন্তু তাতে সিতারার থেকে বেশি মানসিক চাপের মুখে পড়েন রাম আসারে। প্রতি রাতে খুন হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে না ঘুমিয়ে কাটাচ্ছিলেন তিনি। একসময় এই অশান্তির জেরে অসুস্থও হয়ে পড়েন।
এদিকে বিয়ের এক মাসের মাথায় নিজেই সমাধান খুঁজে নিলেন নববধূ। পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান তিনি। জানা যায়, প্রেমিক আমনের কাছেই গিয়েছেন সিতারা। ওইদিকে মধুরেণ সমাপয়েৎ হলেও এদিকে পাড়াপড়শির টিটকিরিতে নাজেহাল অবস্থা নিষাদ পরিবারের। যদিও ক্যাপ্টেন রাম আসারে নিষাদ বলছেন, ‘প্রতিনিয়ত এই কাণ্ডে অপমানিত হচ্ছি। তবে ও পালিয়ে যাওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি। প্রাণ বেঁচে গিয়েছি। নইলে বৌয়ের হাতে খুন হয়ে এতক্ষণে খবর হয়ে যেতাম আমি।’
আরও পড়ুন:- জুলাই থেকে এই গাড়িগুলির জন্য বন্ধ হচ্ছে পেট্রোল, ডিজেল। জ্বালানি দেবে না সরকার