Bangla News Dunia, Pallab : ভোটার তালিকা নিয়ে বড় বিতর্ক দানা বাঁধল। জানা গিয়েছে, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরির কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ২০০৩ সালের ভোটার তালিকাকে ভিত্তি ধরে এই নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করে তালিকা থেকে অবৈধ নাম বাদ দেওয়া ও প্রকৃত ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বুথ লেভেল অফিসাররা এই কাজ করবেন।
আরও পড়ুন : শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে ২৫০০০ কর্মসংস্থান হবে। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপে ষড়যন্ত্র দেখছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার দিঘা (Digha) থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, বিহার নির্বাচনের আগে এটা ঘোষণা করা হলেও আসল লক্ষ্য বাংলা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক ও তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতেই এই চক্রান্ত করা হচ্ছে।
মমতার অভিযোগ, কমিশনের ফর্মে অনেক গরমিল আছে। নির্বাচন কমিশন দুটো চিঠি পাঠিয়েছে। ভোটার লিস্টে নাম তোলার ফর্মের সঙ্গে মা-বাবার বার্থ সার্টিফিকেট জমা দিতে বলেছে। বিজেপিকে একহাত নিয়ে মমতা প্রশ্ন তোলেন এটা কি এনআরসি চালুর চেষ্টা? তাঁর কথায়, ‘দলের বুথ এজেন্টদের তথ্য চাওয়া হচ্ছে। তাঁদের তথ্য কেন কমিশনকে দেব? ভয়ঙ্কর খেলা চলছে। এটা এনআরসির থেকেও ভয়ঙ্কর। কমিশন বলতে পারে না, সম্পূর্ণ ভোটার লিস্ট তৈরি হবে।’ নির্বাচিত সরকার ক্রীতদাস নয় বলেও এদিন জানান মমতা।
নিবাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম রাখার যোগ্যতা প্রমাণ করতে এবার জন্মস্থান সংক্রান্ত দলিলও বাধ্যতামূলক। ১ জুলাই ১৯৮৭ সালের আগে যাঁরা জন্মেছেন তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম রাখতে গেলে নিজেদের জন্মস্থান ও জন্মতারিখের প্রামাণ্য নথি জমা দিতে হবে। ১ জুলাই ১৯৮৭ থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০০৪-এর মধ্যে যাঁরা জন্মেছেন তাঁদের নিজের পাশাপাশি মা বা বাবা, যে কোনও একজনের জন্মতারিখ ও জন্মস্থান সংক্রান্ত নথি জমা দিতে হবে। আর ২০০৪ সালের ১২ ডিসেম্বরের পরে জন্মগ্রহণকারীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। মমতার অভিযোগ, এটা এনআরসি চালুর চেষ্টা। তৃণমূল দল হিসেবে এর প্রতিবাদ করবে।