Bangla News Dunia, Pallab : রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। একদিকে যখন কর্মীরা তাকিয়ে আছেন বকেয়া প্রাপ্তির দিকে, ঠিক তখনই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি নতুন হলফনামা দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। সরকার এই বকেয়া ডিএ সরাসরি দেবে না, এমন ইঙ্গিত থাকলেও, কোন সময়সীমার বকেয়াকে তারা ‘বকেয়া’ হিসেবে মান্যতা দিচ্ছে, তা পরিষ্কার করেছে। এই নতুন পদক্ষেপে কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আসুন, পুরো বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন : ঘন ঘন বাজ পড়ার সময় নিজেকে কীভাবে বাঁচাবেন? জানলে বিপদে কাজে আসবে
কোন সময়ের ডিএ বকেয়া, স্পষ্ট করল রাজ্য
রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে যে তারা ২০০৮ সালের ১লা এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের বকেয়া ডিএ-কেই মান্যতা দিচ্ছে। অর্থাৎ, সরকারের মতে, কর্মীদের ডিএ বকেয়া রয়েছে এই প্রায় ১১ বছরের সময়কালের জন্য। এর অর্থ হলো, এই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যারা কর্মরত ছিলেন, শুধুমাত্র তারাই সরকারের হিসেব অনুযায়ী বকেয়া ডিএ-র দাবিদার। সরকারের এই পদক্ষেপে ডিএ মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, অর্থাৎ বকেয়ার সময়কাল, নির্দিষ্ট হলো।
টাকা দেওয়ার সদিচ্ছা কি আছে?
সময়সীমা স্পষ্ট করলেও, টাকা মেটানো নিয়ে রাজ্যের সদিচ্ছা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি নতুন মডিফিকেশন এপ্লিকেশন দাখিল করে জানিয়েছে যে, তারা কর্মীদের ইতিমধ্যেই একাধিক আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। এই যুক্তি দেখিয়ে, আদালত যাতে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেওয়ার নির্দেশ না দেয়, তার জন্য আবেদন করেছে রাজ্য। সরকারের এই অবস্থানে এটা স্পষ্ট যে, তারা এই মুহূর্তে ডিএ মেটানোর আর্থিক বোঝা নিতে প্রস্তুত নয়।