Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় আত্মহত্যা যুবতীর। ২৭ বছরের ওই গৃহবধূ কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন। তাঁর নাম রিধ্যানা। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে জামাই কবিন কুমারকে ৮০০ গ্রাম সোনা ও ৭০ লাখ টাকা দামের গাড়ি দিয়েছিলেন রিধ্যানার বাবা। কিন্তু তারপরও ওই যুবতীকে শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে হত। আরও টাকা পয়সা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ।
রবিবার মন্দিরে যাবেন বলে বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান রিধ্যানা। তবে মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কীটনাশক খান। এদিকে অনেকটা সময় কেটে গেলেও গাড়িটি পার্কিং এলাকা থেকে সরছে না দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। দেখা যায়, গাড়ির ভিতরে পড়ে রয়েছেন রিধ্যানা। ততক্ষণে তিনি মারা গিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রিধ্যানা সাতটি ভয়েস মেসেজ পাঠান তাঁর বাবাকে। বাবার কাছে ক্ষমা চাইতে এই মেসেজ করেছিলেন। সঙ্গে উল্লেখ করেছিলেন, তিনি শ্বশুরবাড়ির এহেন অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে এই সিদ্ধান্ত নিলেন।
আরও পড়ুন:- যাত্রীদের ভোগান্তি কমলো, এবার ট্রেন ছাড়ার অনেক আগেই রিজার্ভেশন চার্ট।
সেই মেসেজগুলির মধ্যে একটিতে রিধ্যানাকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রতিদিনের এই মানসিক অত্যাচার আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমার যন্ত্রণার কথা আমি কাকে বলব জানি না। কে বুঝবে? অনেকেই আমাকে আপোষ করে নিতে বলছেন। আমি কোনওদিন ভাবিনি জীবনটা এমন জায়গায় চলে আসবে।’
আর একটি অডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি কারও বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। আমি আর সবার মেকিদিকগুলোকে নিতে পারছি না। আমি এমন জূীবন নিয়ে কী করব! আমাকে মারধর করা হচ্ছে। মানসিকভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে প্রতিদিন। আমার কাছে আরও কোনও রাস্তা খোলা নেই। মা ও বাবা তোমরা আমাকে ক্ষমা কোরো। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি তোমাদের আঘাত দিচ্ছি জানি। তোমরা আমাকে সরাসরি বলতে পারছ না। কিন্তু আমি জানি, তোমরা আমার এই অবস্থাও মেনে নিতে পারছ না। আমি চলে যাচ্ছি। তোমরা আমাকে ক্ষমা কোরো।’