বিরাট সুখবর! জুলাই মাসে ২ বার বেতন পাবেন সরকারি কর্মীরা।

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- গত ২৭ জুন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা ২৫% বকেয়া ডিএ পাবেন, এবং আজ ৩০ জুন থেকে বেতন পাবেন। এমনটাই কথা ছিলো, আদালতের নির্দেশিকা অনুসারে। তবে গত ২৭শে জুনই রাজ্য সরকার আদালতে ফের মোডিফিকেশনের আবেদন করে এবং অন্তত ৬ মাস সময় চেয়ে নেন। যার জেরে আপাতত বকেয়া ২৫% ডিএ পাওয়া এখন কার্যত আগষ্টের পরবর্তী শুনানির আগে অন্তত সম্ভব নয়। তবে বকেয়া DA না পেলেও জুলাই মাসে বাড়তি বেতন পাচ্ছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ।

জুলাই মাসে ২ বার বেতন পাবেন সরকারি কর্মীরা

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পে কমিশন চালু করা হয় ১ জানুয়ারি থেকে। তবে ঘোষণা করা হয় মার্চ মাসে। যার জেরে জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারি মাসের এরিয়ার প্রচুর শিক্ষকের বাকি রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এমন প্রচুর শিক্ষক রয়েছে যারা এখন ও সেই এরিয়ারের টাকা পাননি। মার্চ মাসে অনেকেই আবেদন করেছিলে, সেই টাকা জুলাই মাসে ঢুকতে চলেছে বলে জানা গেছে।

অর্থাৎ যে সমস্ত শিক্ষকদের বারাসাত ট্রেজারি থেকে বেতন ডিসবার্স করা হয়, এবং যাদের পে কমিশনের এরিয়ার রয়েছে তারা মাসিক বেতন তো আজ কালের মধ্যে পাবেনই। তার সাথে এরিয়ারের টাকাটা ও পেতে চলেছেন। এছাড়া যে সমস্ত সরকারি কর্মীরা ও এই টাকা পাননি, তারা ও এই টাকা পাবেন। তবে সেটা কবে পাবেন, তা তাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ই বলতে পারবেন।

আরও পড়ুন:- 1 জুলাই কেন পালিত হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস ? জেনে নিন ইতিহাস

৩% বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট

প্রতি বছরের মতো এবার ও জুলাই থেকে ৩% বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পেতে চলেছেন, রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এছাড়া যাদের ৮ ও ১৬ বছর পূরণ হছে তারাও একটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট পেতে চলেছেন। যেকোনো কর্মীর বেসিক এর ৩% ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধি হবে। অর্থাৎ কোনও কর্মীর বর্তমান বেসিক বেতন ১০০ টাকা হলে জুলাই থেকে তার বেসিক হবে ১০৩ টাকা।

 

পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ডিএ এর সংক্ষিপ্ত আপডেট

গত ২৭ শে জুন রাজ্যের বকেয়া DA দেওয়ার সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই রাজ্য সরকার ফের সময় চেয়ে আবেদন করেছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আইন অবমাননার নালিশ জানিয়েছে, এবং রাজ্যের অর্থ সচিব ও মুখ্যসচিব কে নোটিশ পাঠিয়েছেন।

 

বকেয়া ডিএ দিতে রাজ্যের ঢিলেমি ও উদাসীনতার কথা উল্লেখ করে, DA মামলার আইনজীবী প্রবীর চ্যাটার্জি জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রদানে বিলম্ব করছে, যা সংবিধানের ৩০৯ ধারার লঙ্ঘন বলে মনে করেন। তিনি এটিকে কর্মচারীদের হতাশ করার কৌশল এবং প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও বলেন, পঞ্চম পে কমিশন ও রোপা ২০০৯ এর ২৫% ডিএ এখন অপ্রাসঙ্গিক; রোপা ২০১৯ ও ২০২২ এর নির্দেশিকাই বর্তমানে কার্যকর। রাজ্য সরকার পে কমিশনের সুপারিশকে ঐচ্ছিক বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন