অতীতে একাধিক বার FIR সত্ত্বেও কেন মনোজিত্‍ ছাড় পেয়েছে? জানুন কি বললেন CP

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কসবার ল’কলেজের ভিতর আইনের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। দোষীদে শাস্তির দাবিতে ফুঁসছে শহরের মানুষ। অভিযুক্তদের ‘দাদাগিরি’ এবং পূর্বের একাধিক যৌন হয়রানি এবং হেনস্থার অভিযোগ ঘিরেও নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। কেন এতদিন অভিযোগ পেয়েও অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না, বর্তমানে কেসের তদন্তের অগ্রগতি কতদূর, সাংবাদিকদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে কার্যত ‘দায়সারা’ জবাব দিলেন কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা।

মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে প্রশ্ন করা হয়, কসবা কাণ্ডে তদন্ত কতদূর এগিয়েছে। জবাবে CP বলেন,’সাউথ ক্যালকাটা ল’কলেজে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে তবে যেহেতু মামলাটি খুবই স্পর্শকাতর তাই এই নিয়ে আমরা খুব বিস্তারিত কিছু এখনই জানাতে পারছি না। শুধু এটুকুই বলব, খুব দ্রুত FIR দায়ের করা হয়েছিল। ৩ অভিযুক্তই ১২ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়েছে। তারপর তদন্ত করে আরও একজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি।’ পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, অনেক তথ্যপ্রমাণ তাঁদের হাতে উঠে এসেছে, সেগুলি সমস্ত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:- 1 জুলাই কেন পালিত হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস ? জেনে নিন ইতিহাস

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ১০ মাসের মধ্যে শহর কলকাতায় আরও একটি নৃশংস নির্যাতনের ঘটনা ঘটল, কলকাতা পুলিশের ভূমিকা কী? সুকৌশলে এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেলেন কলকাতার নগরপাল। কেন একাধিক FIR হওয়া সত্ত্বেও এর আগে মনোজিৎ মিশ্রর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ? জবাবে মনোজ ভার্মা বলেন, ‘কেসের তদন্ত সম্পর্কিত কোনও তথ্য এখনও বিশদে আমি বলতে চাইছি না। তবে আমাদের কাছে অনেক তথ্য এসেছে। সেগুলি অ্যানালিসিস করা হচ্ছে। কোনও ভাবে যাতে তদন্তে কোনও প্রভাব না পড়ে, তাই আমি এই মুহূর্তে কিছু বলব না। কিন্তু যা যা অ্যাকশন নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, তা লালবাজার নিয়েছে। তদন্ত চলছে, যা যা পদক্ষেপ করার প্রয়োজন পড়বে, তা আমরা করব। প্রত্যেকটা বিষয়কেই তদন্তের স্ক্যানারে রাখা হয়েছে। তবে এখনই তা প্রকাশ্যে আনা উচিত হবে না।’

নির্যাতিতার ছবি-পরিচয় কোনওমতেই যাতে প্রকাশ্যে না আনা হয়, সেই নিয়ে সতর্ক করেন মজ। তিনি বলেন, ‘নির্যাতিতার পরিচয় খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের গাইডলাইন রয়েছে এই বিষয়ে। কোনও ভাবেই যাতে ওই মহিলার পরিচয় প্রকাশ্যে না আনা হয়। কলকাতা পুলিশ এ বিষয়ে কড়া নজরদারি রাখছে।’

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন