Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলছে হাঁস, মুরগি, গরু ও ছাগল পালন ৷ কার্যত গোয়াল ঘরে পরিণত হয়েছে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ মগরাহাট মোহনপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোয়ার্টারগুলি দখল করছে এলাকার মানুষ ৷ ডাক্তার ও ফার্মাসিস্ট না-আসায় জঙ্গলভরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগীদের একমাত্র ভরসা নার্স।
এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জয়ন্ত শুকুল বলেন, “মোহনপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। খুব শীঘ্রই ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সংস্কারের কাজ শুরু করবে স্বাস্থ্য দফতর। কে বা কারা গবাদি পশু থেকে শুরু করে হাঁস, মুরগি পালন করছে তা খতিয়ে দেখা হবে। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দ্রুত সংস্কার করে 30টি শয্যা বিশিষ্ট করা হবে। এলাকাবাসীরা যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পায় সেদিকেই আমরা নজর রাখছি।”
আরও পড়ুন:- রাজ্যের মেয়েদের 25,000 টাকা করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। জানুন কিভাবে আবেদন করতে হবে ?
মোহনপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র
- 1995 সালে বামফ্রন্ট সরকারের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রশান্ত সুরের হাত ধরে মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার মোহনপুরে গড়ে উঠেছিল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। এলাকার এক সহৃদয় ব্যক্তির দান করা সাত বিঘা জমির উপর এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বর্তমানের হাল বেহাল। 2011 সালে এই দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার তৃণমূলের সভাধিপতি শামিমা শেখ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে 10 শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উন্নীত করার জন্য ঢাক-ঢোল পিটিয়ে একটি ফলক বসিয়েছিলেন।
- বর্তমানে সেই ফলকটি ঘাসের মধ্যে গড়াগড়ি খেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেখানে রোগী থাকার কথা, সেখানে চলছে হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল পালন। একের পর এক কোয়ার্টারগুলি দখল এলাকার মানুষ। বাকি কোয়ার্টারগুলিতে চলছে মুরগি পালন। তার সামনে বড় বড় মুরগি ফার্মের গাড়ি। তালা বন্ধ, জানালা ভাঙা, গর্ভবতী মায়েদের ওটি রুমে বাস করছে বাদুড়। হাসপাতাল চত্বর গ্রাস করেছে আগাছা।
- সূর্যাস্তের পর হাসপাতাল চত্বরে বসে দুষ্কৃতীদের মদের ঠেক। পানীয় জলের কল বসলেও তাতে ওঠে না জল। একটিমাত্র বিল্ডিংয়ের দু’তিনটি রুমে কিছু ওষুধপত্র থাকে ৷ পাশের চেয়ার টেবিলে বসে একজন নার্স। সেই নার্স এখন এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট আসে না-বললেই চলে। সকালে রোগী যা আসেন সামলাতে হয় ওই নার্সকে। গরম ও বর্ষার সময় জঙ্গল থেকে বিষাক্ত সাপ বেরিয়ে আসে।
মগরাহাট মোহনপুর এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র
এনিয়ে তৃণমূল-বিজেপির তরজা
কার্যত গোয়াল ঘরে পরিণত হয়েছে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র
- বিরোধীরা উন্নয়ন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ৷ বিজেপির ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলা সহসভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, “এই উন্নয়নের পিছনে তৃণমূলের আশীর্বাদ। শাসকদল, পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্য দফতর ইচ্ছে করলে 5 মিনিটের মধ্যে হাসপাতাল থেকে দখলদারদের তাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু তা হবে না, কারণ এই উন্নয়নের বন্যার পিছনে রয়েছে কাটমানি, তোলাবাজি।
- শাসকদল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, তাঁরা এই বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন ৷ খুব শীঘ্রই সমাধান হবে ৷
আরও পড়ুন:- এক বছরে ৭৩৯% বৃদ্ধি, লগ্নি করতে পারেন এই ৭ পেনি স্টকে