যে কোনও মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে? কেন এমন আশঙ্কা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ? জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

atom bomb, parmanu bomb

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বিশ্বজুড়ে সংঘাতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নীতিন গড়করি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশঙ্কা, পৃথিবী ধীরে ধীরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নাগপুরে ‘বিয়ন্ড বর্ডার্স’ নামে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই নীতিন গড়করির গলায় শোনা গেল আশঙ্কার সুর।

বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে নীতিন গড়করি বলেন, ‘গোটা বিশ্বে এই মুহূর্তে সংঘাতের পরিবেশ। ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সংঘাত চলছে। তার সঙ্গেই রয়েছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধগুলির আবহেই যে কোনও মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।’

আধুনিক যুগে যুদ্ধের ধাঁচও বদলে গিয়েছে বলে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বেড়েছে প্রযুক্তিগত অস্ত্রের ব্যবহার। এখনকার যুদ্ধ অনেক বেশি ড্রোন এবং মিসাইল নির্ভর বলে মনে করেন নীতিন গড়করি। যা একটা সময়ে ছিল যুদ্ধবিমান এবং ট্যাঙ্ক নিয়ে।

আরও পড়ুন:- রাজ্যের মেয়েদের 25,000 টাকা করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। জানুন কিভাবে আবেদন করতে হবে ?

নীতির গড়করির কথায়, ‘যুদ্ধে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিও বদলে গিয়েছে। বেড়েছে মিসাইল এবং ড্রোনের ব্যবহার। ট্যাঙ্ক এবং অন্য ধরনের এয়ারক্র্যাফ্টের ব্যবহার কমেছে। সর্বোপরি মানব সভ্যতাকে সুরক্ষা দেওয়ার উপায় কমে গিয়েছে। অধিকাংশ সময়েই জনবসতি এলাকায় ছোড়া হচ্ছে মিসাইল।’

ধীরে ধীরে বিশ্ব ধ্বংসের পথ এগোচ্ছে বলেই আক্ষেপ করে বলেন কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী। নীতিন গড়করির কথায়, ‘গুরুতর সমস্যা তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। না হলে বিশ্ব ক্রমশই ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে।’

ইরান-ইজরায়েলের সংঘর্ষের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট। দি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও বাহরাইন সরাসরি ইজরায়েলের পক্ষে না হলেও, ইরানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই পরিচিত। অন্যদিকে, সিরিয়া, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী, ইয়েমেনের হুথি বাহিনী এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ ইরানের ঘনিষ্ঠ। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে এরা সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে। এই সংঘাতের মধ্যে সবচেয়ে স্পর্শকাতর অবস্থান ভারতেরই। কারণ, ভারতের একদিকে যেমন ইজরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ স্ট্যাটেজিক ও সামরিক সম্পর্ক রয়েছে, অন্যদিকে তেমনই ইরানের সঙ্গে জ্বালানি ও চাহাবাহর বন্দরের মতো অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ফলে ভারত এখনও পর্যন্ত নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখলেও সংঘর্ষ আরও বাড়লে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

আরও পড়ুন:- এক বছরে ৭৩৯% বৃদ্ধি, লগ্নি করতে পারেন এই ৭ পেনি স্টকে

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন