দল থেকে বহিষ্কার বেবি কোলে, খড়গপুরের মানুষের রিঅ্যাকশন পেয়েই এমন সিদ্ধান্ত মমতার ?

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : প্রকাশ্য রাস্তায় প্রবীণ সিপিএম নেতা অনিল দাসকে (CPM Leader Anil Das) মারের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন, তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar)। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসির নির্দেশে খড়গপুরের ঘটনায় অভিযুক্ত বেবি কোলেকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়েছে বলে জানান জয়প্রকাশ মজুমদার।

আরও পড়ুন : যে কোনও মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে? কেন এমন আশঙ্কা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ? জানুন

এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেবি কোলে আমাদের কর্মী বলে পরিচিত। তিনি এক বয়স্ক বামপন্থী নেতার সঙ্গে অশালীন এবং অসামাজিক ব্যবহার করেছেন। সেই কারণে তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল। আমাদের দলের অনুশাসন খুবই কঠোর। ওঁকে শোকজ করার পর সুব্রত বকসি নির্দেশ দিয়েছিলেন দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য।’ পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘অভিযোগ যাই থাকুক, এভাবে হাতে আইন তুলে নিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় কোনও মানুষকে মারধর করা ঠিক নয়। ঘটনায় নিজের ভুল স্বীকার করার পরিবর্তে বেবি ওই বৃদ্ধ বাম নেতার ঘাড়েই অভিযোগ চাপিয়েছিলেন।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন খড়গপুরে সিপিএম নেতা অনিল দাসকে রাস্তায় ফেলে মারধোর করেন তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে (Baby Koley)। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। গোটা ঘটনা জানিয়ে খড়গপুর টাউন থানায় তৃণমূল নেত্রীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অনিল দাস। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) খোলা চিঠি লেখেন। যদিও অভিযোগ দায়েরের পর বেবিকে পুলিশ আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়। এদিকে ওই মারধরের ভিডিও চোখে পড়তেই দলের তরফে শোকজ করা হয় তৃণমূল নেত্রীকে। এরই মাঝে পুলিশি নিষ্কৃয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন অনিল দাস। মামলার শুনানি হওয়ার আগেই এদিন তৃণমূলের (TMC) শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে দল থেকে বহিষ্কার করা হল খড়গপুরের তৃণমূল নেত্রীকে। তবে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার হলেও তাঁকে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হল না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা কোনও ব্যবস্থাই নয়। ১৫ দিন হয়ে গেল বেধড়ক পেটাল রাস্তার উপর ফেলে। তারপর পুলিশ গ্রেপ্তার করল না। তৃণমূল চুপটি করে বসে থাকল। আসলে খড়গপুরের মানুষের রিয়্যাকশন যেখানে গিয়েছে তৃণমূলের কাছে আর কোনও পথ ছিল না কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলা ছাড়া।’

আরও পড়ুন : দুধ চা খালি পেটে খেলে সর্বনাশ, কী হয় ? জানুন

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন