সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও, চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের মূল সমস্যাগুলির কোনো সমাধান হয়নি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এক সাক্ষাৎকারে চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মন্ডল তাঁর উদ্বেগ ও হতাশার কথা তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন : যে কোনও মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে? কেন এমন আশঙ্কা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ? জানুন
হাইকোর্টের রায় এবং তার প্রভাব
কলকাতা হাইকোর্ট তার রায়ে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, যে সমস্ত প্রার্থীদের অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল এবং অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তারা নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। যদি এই ধরনের কোনো প্রার্থী আবেদন করে থাকেন, তবে তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এই রায় আপাতদৃষ্টিতে স্বচ্ছতার পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও, যারা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও সিস্টেমের শিকার, তাদের জন্য এটি নতুন করে একাধিক প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
যোগ্য প্রার্থীদের মূল উদ্বেগ
চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মন্ডল জানিয়েছেন যে, উক্ত রায় শুধুমাত্র অযোগ্য প্রার্থীদের সমস্যা সমাধান করেছে, কিন্তু তাঁর মতো যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চনা এবং মূল সমস্যাগুলি উপেক্ষা করা হয়েছে। তাঁর প্রধান উদ্বেগগুলি হলো:
- ত্রুটিপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি এবং গেজেট: নতুন বিজ্ঞপ্তি এবং গেজেটে একাধিক ত্রুটি রয়েছে, যার ফলে ২০১৬ সালের অনেক যোগ্য প্রার্থী (শিক্ষক এবং অশিক্ষক উভয় পদে) শূন্যপদ না থাকায় আবেদন করতে পারছেন না।
- যোগ্যতার মান পরিবর্তন: ন্যূনতম নম্বরের হার ৪৫% থেকে বাড়িয়ে ৫০% করা হয়েছে। এর ফলে ২০১৬ সালের অনেক যোগ্য প্রার্থী, যারা কর্মরত ছিলেন এবং এখন চাকরিচ্যুত, তারা নতুন পরীক্ষার জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছেন।
- শূন্যপদের সংখ্যা হ্রাস: শূন্যপদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ফিজিক্যাল সায়েন্সের ক্ষেত্রে সাধারণ বিভাগে শূন্যপদ ১৪০০ থেকে কমে ১১০০ হয়েছে, যা যোগ্য প্রার্থীদের জন্য সুযোগ আরও কমিয়ে দিয়েছে।
- প্রার্থীদের প্রত্যাশা: যোগ্য প্রার্থীরা আশা করেছিলেন যে, ২০১৬ সালের শূন্যপদগুলি শুধুমাত্র ২০১৬ সালের প্রার্থীদের জন্যই সংরক্ষিত থাকবে এবং নতুন শূন্যপদগুলি নতুন প্রার্থীদের জন্য হবে। তাঁর মতে, বিচারক এই বিষয়টি উল্লেখ করলেও সময়ের অভাবে কোনো পদক্ষেপ নেননি।