Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ করল এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্য়ুরো (এএআইবি) ৷ গত 12 জুন গুজরাতের আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে রওনা দেওয়ার খানিক পরেই সংলগ্ন মেঘানিনগরে ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার AI-171 ড্রিমলাইনার ৷ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে 250 জনেরও বেশি মানুষের ৷ এর একমাসেরও কম সময়ের মধ্যে প্রথম রিপোর্ট দিল এএআইবি ৷
সূত্রের খবর, এএআইবি এই বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে জমা দিয়েছে ৷ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের উপর নির্ভর করে এই রিপোর্ট তৈরি ৷
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার 13 দিন পর 25 জুন বিমানের সামনের দিকের ব্ল্যাক বক্স থেকে ক্র্য়াশ প্রটেকশন মডিউল (সিপিএম) নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৷ এএআইবি-র ল্যাবে এই সিপিএম থেকে সফলভাবে তথ্য ডাউনলোড করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:- ৯ জুলাই ভারত বনধ: কোন কোন পরিষেবা বন্ধ থাকবে ও দেশের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে ? জেনে রাখুন
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার পরদিন একটি বাড়ির ছাদ থেকে বিমানের প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি পাওয়া যায় ৷ দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় 16 জুন ৷ এই দু’টি ব্ল্যাক বক্সের ডেটা নিখুঁত উপায়ে উদ্ধার সম্ভব কি না, তা জানতে ‘গোল্ডেন চেসিস’ নামের একটি এক রকম ব্ল্যাক বক্স ব্যবহার করা হয় ৷ এই পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায় যে দু’টি ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য পাওয়া সম্ভব ৷
এই তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছেন এএআইবি-র ডিরেক্টর জেনারেল ৷ এছাড়া ভারতীয় বায়ুসেনার প্রযুক্তিবিদরা, হিন্দুস্তান এরোনটিক্যাল লিমিটেড (এইচএএল) এবং আমেরিকার ন্য়াশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)-এর আধিকারিকরা এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে অংশ নিয়েছেন ৷ এই তদন্তকারী দলে রয়েছেন ওষুধ বিশেষজ্ঞ এবং একজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল আধিকারিক (এটিসি) ৷
সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, আমেরিকার এনটিএসবি-র দলটি এখন দিল্লিতে রয়েছে ৷ তারা এএআইবি-র গবেষণাগারে ভারতীয় তদন্তকারীদের সঙ্গে এই দুর্ঘটনার কারণের সন্ধান চালাচ্ছে ৷ তদন্তে সহযোগিতা করতে ড্রিমলাইনার বিমান নির্মাতা সংস্থা বোয়িং-এর কর্মীরাও দিল্লিতে রয়েছেন ৷
12 জুন আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার আগে বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে ডেটা উদ্ধার করতে সেগুলি অন্য দেশে পাঠাতে হত ৷ ভারতের এএআইবি ল্যাবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে ডেটা উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্র ছিল না ৷ শুধু ডেটা উদ্ধারের জন্য নির্দিষ্ট কোনও ব্যবস্থা ছিল না ৷ তাই বিমান, হেলিকপ্টারের ব্ল্যাক বক্সগুলি পাঠানো হত ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা ও রাশিয়ায় ৷ কিন্তু একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে ৷
আমেবাদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পর দিল্লিতে এএআইবি ল্যাবে গুরুতর দুর্ঘটনায় ডেটা উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র আনা হয়েছে এবং ডেটা পাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ এখন দেশের মধ্যে কোনও দুর্ঘটনা হলে দিল্লিতে এএআইবি-র ল্যাবে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর) থেকে তথ্য উদ্ধার সম্ভব ৷