পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শিক্ষকদের উপস্থিতি সংক্রান্ত একটি নতুন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আগামী ৯ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে ধর্মঘটের কারণে সমস্ত শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নিয়মের অন্যথা হলে শিক্ষকদের বেতন কাটার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত রাজ্য জুড়ে শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই নিয়মটি শুধুমাত্র মাধ্যমিক নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।
নতুন নিয়মের মূল বিষয়বস্তু
এই নতুন বিজ্ঞপ্তির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে যা সমস্ত শিক্ষকদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। আসুন, বিস্তারিতভাবে বিষয়গুলি আলোচনা করা যাক:
- বাধ্যতামূলক উপস্থিতি: বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে ৯ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে সমস্ত শিক্ষকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। কোনো প্রকার অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না এবং এই দিনটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- অনুপস্থিতিতে বেতন কাটা: যদি কোনো শিক্ষক ওই নির্দিষ্ট দিনে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তাদের বেতন থেকে সেই দিনের টাকা কেটে নেওয়া হবে। এটি একটি কঠোর পদক্ষেপ, যা শিক্ষকদের সময়ানুবর্তিতা এবং দায়িত্ববোধ বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
- শোকজ নোটিশ: অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র বেতন কেটেই নেওয়া হবে না, তাদের একটি শোকজ নোটিশও পাঠানো হবে। এই নোটিশের জবাব শিক্ষকদের ৩১শে জুলাই, ২০২৫ তারিখের মধ্যে দিতে হবে।
- সন্তোষজনক কারণের অভাব: যদি কোনো শিক্ষক অনুপস্থিতির জন্য সন্তোষজনক কারণ দেখাতে না পারেন অথবা শোকজ নোটিশের জবাব না দেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- ডাইস নন (Dies Non): যদি শোকজ নোটিশের জবাবে কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট না হন, তাহলে সেই ছুটিকে ‘ডাইস নন’ হিসেবে গণ্য করা হবে। এর অর্থ হলো, ওই দিনের জন্য কোনো বেতন তো পাওয়া যাবেই না, এমনকি ছুটির আবেদনও গ্রাহ্য হবে না।
আরো পড়ুন : সবাইকে নতুন বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে মোদী সরকার ! কিভাবে আবেদন জানাবেন ?